একজন ওসি ইচ্ছা করলে তাঁর থানা এলাকার পরিবেশ সম্পূর্ণ পাল্টে দিতে পারেন।কোন থানার ওসি মনে করলে ঐ এলাকার সকল রকম অপরাধ নির্মুল করে দিতে পারেন।কারন মানুষ বিপদে পড়েই কিন্তু সর্বপ্রথম থানায় যান।থানায় গিয়ে যদি মানুষ ওসি সাহেবের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা পায়,ওসি সাহেব যদি হাসি মুখে সেবা গ্রহীতার সাথে কথা বলেন, বিনা টাকায় পুলিশি সেবা দেন, তাহলে তার চাইতে বড় পাওয়া আর কিছুই হতে পারেনা।প্রাচীন কালে  পুলিশের সৃষ্টি হয়েছিলো খাজনা আদায়ের জন্য। যার কারনে প্রাচীন কালে পুলিশ মানুষের গাঢ় ধরে সরকারের খাজনা আদায় করে দিত।

কিন্তু যুগের পরিবর্ত্তনের সাথে সাথে বাংলাদেশ পুলিশের ব্যাপক পরিবর্ত্তন ঘটেছে। আগের পুলিশ আর বর্তমান পুলিশ এক নয়।বর্তমান পুলিশ জনবান্ধব পুলিশ, বর্তমান পুলিশ জনতার পুলিশ। আর এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের তত্বাবধানে সাবেক পুলিশ প্রধান ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার ও বর্তমান পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এঁর দক্ষ নেতৃত্বের কারনে।পুলিশের এই পরিবর্ত্তনের ছোয়া লেগেছে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানা এলাকায়।বিশেষ করে কলারোয়া থানার ওসি মোহা মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের পর থেকে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম এঁর নির্দেশনা মোতাবেক ওসি মোস্তাফিজুরের তৎপরতায়।মানুষের সাথে হাসি মুখে কথা বলাই ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের বিশেষ গুণ।ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে দেখা করতে কারো অনুমতি লাগেনা। বৃদ্ধ-যুবক,কিশোর-কিশোরী, ধনী-দরিদ্র সব শ্রেনীর মানুষ খুব সহজেই তার সাথে দেখা করে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন।এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তিনি কলারোয়া থেকে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছেন।আর এসব গুনের কারনে তিনি  টানা ৩য় বারের মত খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ  নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ১০ আগষ্ট  দিনব্যাপী রেঞ্জ অফিসের ক্রাইম কনফারেন্স সভায় খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ  হিসেবে পদক দেয়া হয় কলারোয়া থানার ওসি মোহা মোস্তাফিজুর রহমান কে। খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম (বার) এঁর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে জুন ও জুলাই/২৩ মাসে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ক্রাইম কনফারেন্সে কলারোয়া থানার ওসি মোহা মোস্তাফিজুর রহমান খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ  হিসাবে রেঞ্জ ডিআইজির নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।সাতক্ষীরা জেলায় যোগদানের আগে  মাগুরা সদর থানার ওসি হিসাবে মোস্তাফিজুর রহমান খুলনা রেঞ্জের সেরা ওসির পুরুস্কার পান।

খুলনা রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়,রেঞ্জের ভিতরে রেকর্ড ব্রেক পরিমান  মাদক উদ্ধার, মামলার রহস্য উদঘাটন, ওয়ারেন্ট তামিল, শিল্প এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা সহ কলারোয়া উপজেলার চোরাচালান বন্ধ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে কলারোয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান কে খুলনা রেঞ্জের ওসি  হিসাবে মনোনীত করা হয়।

একই সঙ্গে ২য় বারের মতো রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ জেলা সাতক্ষীরা , ৭ম বারের মত শ্রেষ্ঠ সার্কেল সাতক্ষীরা সদর সার্কেল , ৩য় বারের মত শ্রেষ্ঠ থানা কলারোয়া  এবং শ্রেষ্ঠ এসআই এর কৃতিত্ব অর্জন করেছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ।

ঐ সভায় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম (বার) আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানকে শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামানকে শ্রেষ্ঠ সার্কেল, কলারোয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ ও কলারোয়া থানার এসআই জুয়েল ও এএসআই নুর মোহাম্মাদের হাতে পদক ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।

আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি ওসি মোস্তাফিজুর রহমান অনেক মানবিক কার্যক্রম করে থাকেন।এলাকায় কঠিন রেগে আক্রান্ত হয়েছেন কেউ,ডাক্তাদের প্রেসক্রিপশনের ঔষধ কিনতে পারছেন না, ওসি র কাছে সাহায্য চাইতে গেলে তিনি সেসব দুস্থ্য মানুষদের ঔষধ কিনে দেন।এছাড়া ওসি মোস্তাফিজুর রহমান একজন ধর্মপরায়ণ পুলিশ অফিসার। ঝিনাইদহ জেলায় তার স্ত্রীর দান করা জমিতে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান একটি নান্দনিক মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন।সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি রা ৫ ওয়াক্ত নামজ আদায় করতে পারেন।শুধু তাই নয় ঐ মসজিদের নামাজ পড়ানো ঈমাম ও মোয়াজ্জেম সাহেবের মাসিক বেতন টা ও ওসি মোস্তাফিজুর রহমান তার নিজের বেতনের টাকা থেকে দেন।সর্বপরি বলা যায় ওসি মোস্তাফিজুর রহমান সেরাদের সেরা ওসি।