তারিক ইসলাম : যৌনপল্লির বাসিন্দাদের সমাজের আর সব সাধারণ মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পল্লির শিশুদের সাধারণ সামাজিক মর্যাদার সঙ্গে বড় হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। শিশুদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
কথাগুলো বলেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান। তিনি আজ বুধবার দৌলতদিয়ার যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মধ্যে শিক্ষা–উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে গোয়ালন্দ থানার পুলিশ। দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) মাঠে এই অনুষ্ঠান হয়।
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘যৌনকর্মীদের সন্তানদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার সঙ্গে মানুষ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার দায়িত্ব আমার আপনার সবার। শুধু যৌনকর্মী বা তাঁদের সন্তানেরাই নয়, এই সমাজে যাঁরা তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া হিসেবে পরিচিত, তাঁদেরও পুনর্বাসন করতে হবে। বেদে সম্প্রদায়কে নিয়েও ভাবতে হবে। এ কারণে আমাদের এবারের স্লোগান “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার”।’
আজকের অনুষ্ঠানে যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক শিশু-কিশোরের হাতে শিক্ষা–উপকরণ হিসেবে স্কুলব্যাগ, খাতা-বই-কলম, টিফিন বক্স, দুধের ফিডারসহ নানা ধরনের উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আবদুল জব্বার, ফরিদপুর অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফ-উজ-জামান, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম, চাইল্ড ক্লাবের চেয়ারম্যান ফারহান রাসেল, যৌনকর্মীদের পক্ষে ঝুমুর বেগম প্রমুখ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান।
আজ দৌলতদিয়া ঘাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্থাপিত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে উদ্বোধন করেন ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) , পিপিএম (বার) ।