পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ বিপিএম-বার বলেছেন, বাঙালি জাতি যখনই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে- তখনই বিজয়ী হয়েছে। জাতি হিসেবে যখনই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, তখনই বিজয়ী হয়েছি আমরা। রাষ্ট্রের ভেতর ও বাইরের সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সারাবিশ্বের গবেষণা ও বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। দেশের অগ্রযাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রকে দুই পায়ে মাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ লাইন মাঠে যশোরে বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা করেন।
ড. বেনজির বলেন, অনেকগুলো কারণে পুলিশের সঙ্গে খেলাধুলার সম্পর্ক রয়েছে। শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা আছে। জাতীয় পর্যায়ের খেলাধুলায় বাংলাদেশ পুলিশের পজিশন রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমরা প্রতিনিধিত্ব করি। বাংলাদেশ পুলিশের অংশগ্রহণ আরও সুদৃঢ় করার জন্য চেষ্টা করছি। প্রত্যেক ইউনিটেই খেলাধুলা চর্চা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আত্মমর্যাদা, আত্মবিশ্বাস নিয়ে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে যাচ্ছে। শিগগির আত্মমর্যাদশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবী অবস্থান করতে পারবে। আমাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল কিংবা দুর্বলতার সুযোগ যেন ষড়যন্ত্রকারী পেতাত্মারা না পায়, তার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পুলিশ বাহিনীর সব ভালো কাজে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ও আইজিপি সহধর্মিণী জীশান মির্জা ও বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জ উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ২৭টি ইভেন্টের মধ্যে প্রথমদিন (মঙ্গলবার) ১১টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ এবং বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ও আইজিপি সহধর্মিণী জীশান মির্জা।
এর আগে পুলিশ সদস্যদের অংশগ্রহণে প্যারেড, মনোজ্ঞ ডিসপ্লে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএমপি কমিশনার মো: মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া, সাাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, খুলনার এসপি মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান,চুয়াডাঙ্গার এসপি মো:জাহিদুল ইসলাম,বাগেরহাটের এসপি কেএম আরিফুল হক,কুষ্টিয়ার এসপি খাইরুল আলম,ঝিনাইদহের এসপি মুনতাসিরুল ইসলাম সহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপার ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিবৃন্দ।