প্রবীণ রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ৭৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৪১ সালের ১৫ নভেম্বর ঝালকাঠির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের জন্মদিনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও তার শুভাকাঙ্ক্ষী, অনুসারী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা রাজধানীর ইস্কাটনের বাসভবনে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবে। এ ছাড়া ঝালকাঠি সদর আসনে আমুর নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীরাও জন্মদিন উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্নেহে বেড়ে ওঠা ও ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা আমির হোসেন আমু। ১৯৬৫ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৮ সালে বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি বরিশাল সদর আসন থেকে জয়লাভ করেন।
১৯৭২ সালে আমু যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে মনোনীত হন এবং ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচারবিরোধী ও প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন আমু। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত নেতা আমির হোসেন আমু দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন আমু।
এদিকে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সিনিয়র সদস্য ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সুযোগ্য শিল্পমন্ত্রী জননেতা আমির হোসেন আমুর ৭৫তম জন্মদিনে প্রিয় নেতাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর ধানমন্ডির বাস ভবনে যান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ,সাবেক সংসদ সদস্য,সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের কিংবদন্তী প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্জ মুনসুর আহম্মেদ ও সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য,সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা(নৌ কমান্ড) মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।