নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র ও মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ আবু সাঈদ শুভ বলেছেন,“শিশুর হাইপোস্পেডিয়াস”একটি নিরাময় যোগ্য রোগ।এবিষয়ে তিনি কিছু ডাক্তারী উপদেশ মুলক বার্তা দিয়েছেন।বার্তা গুলো নিন্মে প্রদান করা হইলঃ--
★খুব সাধারন একটি জন্মগত ত্রুটি। প্রতি ২৫০ জন ছেলে শিশুর মধ্যে ১টি শিশু এই ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহন করে ।
কি কি দেখে বুঝবেন যে আপনার শিশুর হাইপোস্পেডিয়াস আছে ?
★শিশু জন্মের পর যদি দেখেনঃ
১। প্রস্রাবের দ্বার সঠিক স্থানে না থেকে পুরুষাঙ্গের নিচে থাকে।
২। শিশ্নের উপরে চামড়ার একটি অংশ দিয়ে ঢাকা থাকে এর নাম হুডিং।
৩। পুরুষাঙ্গ বাঁকা থাকতে পারে।
৪। প্রস্রাব করার সময় তা দূরে না গিয়ে নিজের শরীরে লেগে যেতে পারে।
★বাবা মায়ের করনীয়ঃ-
বাচ্চার এরকম কোন সমস্যা দেখা গেলে তাকে নিয়ে দ্রুত একজন শিশু সার্জারী বিশেষজ্ঞ এর শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
চিকিৎসা
অপারেশন ছাড়া এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তবে এতে ভয় পাবার কারন নেই। অপারেশানের মাধ্যমে এ সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান সম্ভব।
★কেন অপারেশন করবেনঃ
১। প্রস্রাবের ধারা সোজা হবে।
২। লিঙ্গের বক্রতা ঠিক হবে।
৩। ভবিষ্যতে যৌন সঙ্গমে কোন সমস্যা হবে না।
৪। বার বার প্রস্রাবের ইনফেকশান হবে না ।
৫। এ শারীরিক সমস্যাজনিত কারনে বাচ্চার মনের উপর কোন দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব পড়বেনা।
★কখন অপারেশানের জন্য প্রস্তুতি নিবেনঃ
১।পূর্বে বলা হত ৫ বছর বয়সের মধ্যে এ অপারেশান করলেই চলবে। কিন্তু বর্তমানে উন্নত বিশ্বে শিশু ইউরোলজিস্টরা বাচ্চার ৬ মাস থেকে দেড় বছর বয়সে এ অপারেশান করে ফেলেন। কারন হিসাবে বলা হচ্ছে কম বয়সে করলে বাচ্চার টিস্যু নরম থাকে। ফলে অপারেশান এর ফলাফল ভাল হয়। তাছাড়া বয়সের সাথে সাথে পুরুষাঙ্গ বাড়তে থাকে কিন্তু লিঙ্গের নিচের সামনের অংশ সেই অনুপাতে বাড়ে না। তাই বয়স বেশি হলে লিঙ্গের বক্রতা বেড়ে যেতে পারে।তাই ভয় না পেয়ে যত দ্রুত সম্ভব শিশু সার্জন এর সাথে দেখা করা উচিত
অপারেশানে আপনার বাচ্চার কি ধরনের ঝুকি থাকতে পারে।
বেশির ভাগ অপারেশান কোন ধরনের ঝুকি ছাড়াই সফল্ভাবে সম্পন্ন হয়। তবে আসলে কোন অপারেশানই ঝুকিমুক্ত নয়। তাই এ অপারেশানেও কিছু ঝুকি আছে।
১। সবচেয়ে কমন জটিলতা হল নতুন তৈরি করা প্রস্রাবের রাস্তায় ফিস্টুলা তৈরি হওয়া (৫-২০%)। তবে এতে ভীত না হয়ে আপনার শিশুর সার্জনের কিছু পরামর্শ মেনে চললে এটা নতুন কোন অপারেশন ছাড়াই ভাল হয়ে যেতে পারে। তবে অনেক বাচ্চার আবারো অপারেশান লাগতে পারে।
২। প্রস্রাবের রাস্তার শেষাংশ চিকন হয়ে যেতে পারে।
৩। ইনফেকশান
৪। রক্তক্ষরণ
জেনে রাখা ও অন্যকে জানানো অতি জরুরি।শিশুর যে কোন সার্জারির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ও আদর্শ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হলেন একজন ‘শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ’
বাংলাদেশের ’নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩), অনুযায়ী শিশুর বয়স ০ থেকে ১৮ বছর।
লেখক ও স্বাস্থ্য বার্তায়ঃ
ডাঃ শেখ আবু সাঈদ শুভ
এমবিবিএস, এমএস (শিশু সার্জারি)
সহকারী অধ্যাপক
শিশু সার্জারি
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ
সাতক্ষীরা।