দেবহাটা থানায় চাঞ্চল্যকার শিশু হত্যা চেষ্টার মামলা রুজু হওয়ার এক দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন, ঘটনায় ব্যবহৃত চাকুসহ অন্যান্য আলামত জব্দ সহ ২ আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ ওবায়দুল্লাহ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান,
মোঃ আলিফ ফারহানের পিতা মোঃ মহিউদ্দীন (৩০), বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে এজাহার দায়ের করে। ঘটনাটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা হওয়ায় দেবহাটা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন।
মামলা রুজুর একদিনের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ সজীব খানের তত্বাবধায়নে, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) এসএম জামিল আহমেদ এর নের্তৃত্বে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ ওবায়দুল্লাহ, পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ তুহিনুজ্জামান ও থানার অফিসার ফোর্স এবং সাতক্ষীরা সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত বিশ্বজিত কুমারের নেতৃত্বাধীন টিম গতকাল সংশ্লিষ্ট এলাকা সহ তার আশেপাশে র এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
মামলার তদন্তে প্রাপ্ত গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোছাঃ রানী খাতুন (২২), স্বামী-আশরাফুজ্জামান \ লিমন, ২। মোঃ আশিকুজ্জামান \ ইমন (১৬) (আইনের সাথে সংঘর্ষে জড়িত শিশু), পিতা- মোঃ আব্দুল হাকিম সরদার, উভয় গ্রাম- চর বালিথা , উপজেলা/থানা- দেবহাটা, জেলা –সাতক্ষীরাদ্বয়কে গ্রেফতার করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানে হয়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল থেকে উক্ত ঘটনায় ব্যবহৃত চাকু এবং আসামীর রক্তমাখা স্যালোয়ার ও ওড়না জব্দ করা হয় এবং আসামীদের কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা আদালতে স্বেচ্ছায় ঘটনার বিষয়ে ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি প্রদান করে।তবে একাধিক বিশ্বস্থ্য সুত্র জানায়, মামীর পরকীয়া র প্রেম দেখে ফেলাতে মামী ও তার প্রেমিক মিলে আলিফ ফারহানের চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করার চেষ্টা করে।
প্রাসংঙ্গত : গত ১৪ মার্চ দুপুরে দেবহাটা চর বালিথা আব্দুল হাকিমের বাড়ির পাশে মাটি খনন কৃত গর্তের মধ্য হইতে শিশু আলিফ কে দুই চোখ, মুখ গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানিয়রা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।