♣♣♣♣
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সুলতানপুরস্থ আজাদী সংঘ ক্লাবে এ আলোচনা সভা, দোয়া অনুষ্ঠান ও তাবারক বিতরণ করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, পৌর কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল করিম ধনী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সদস্য সবুর খান, ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, শামছুল আলম, জুলফিকার আলী ভুট্টো, আব্দুল মজিদ, কুরবান আলী, মুজিবুর রহমান, নুরুল হক, কবির হোসেন, আশরাফুল কবির খোকন, নূর মনোয়ার হোসেন, রুহুল আলিম, আব্দুস সেলিম, আঃ রহমান, রোকেয়া বেগম, মাস্টার রুস্তম আলী, আনছার আলী, আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
এসময় প্রধান নজরুল ইসলাম বলেন, শেখ রাসেল একটি স্মৃতি বিজড়ীত নাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে শিশু পুত্র শেখ রাসেলকে হত্যা করেছিল ঘাতকরা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের কল্পনাও আমরা করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর সুনিপুন দুরদর্শীতার কারণে বাংলাদেশ খুব তাড়াতাড়ি স্বাধীনতা লাভ করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে যিনি তাঁর সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। সেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল এদেশেরই ঘাতকরা। যেটা বাঙালী জাতির জন্য কলঙ্ক জনক অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা মনে করেছিল তারা এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে দিতে। কিন্তু তারা শতচেষ্টা করেও সেটা পারেনি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন এদেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা বিদেশে আছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। তাদের বিচারও শেষ করা হবে। তিনি আরো বলেন, নৌকা হচ্ছে উন্নয়ননের প্রতীক। শেখ হাসিনা সরকার এদেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, চিতিৎসা, রাস্তাঘাট সহ এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। পদ্মাসেতু বর্তমানে দৃশ্যমান। বাংলাদেশের যারা উন্নয়ন চায়না। ওই জামাত-শিবির চক্র আর যাতে এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরায় যারাই নৌকার প্রতীক পাবে দলীয় স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে নৌকার পক্ষে কাজ করে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
তথ্যঃডেইলি সাতক্ষীরা।