র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে আমাদের দেশের কোনো সম্প্রদায়ের মানুষের কেউ ক্ষতি করার চেষ্টা করলে, তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যারা বিনা কারণে দেশের মানুষের ক্ষতি করতে চায়, রক্তপাত করতে চায়, সম্পদ ধ্বংস করতে চায়, আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশে তাদের প্রয়োজন নেই।’
আজ শুক্রবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া শাহপাড়া গ্রামে ধর্মীয় সম্প্রীতি সমাবেশে বেনজীর আহমেদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে এসব জঞ্জাল থেকে মুক্ত করব। এই দেশ ওদের জন্য নয়।’
২১ ডিসেম্বর শাহপাড়া গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মোটা সাহা ঘোষের বাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় মোটা সাহার ছেলে কৃষ্ণ ঘোষ বাদী হয়ে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান লিটনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
বেলা ১১টার দিকে বেনজীর আহমেদ ঠাকুরগাঁওয়ে যান। তিনি র্যাবের অর্থায়নে নির্মাণ করে দেওয়া বাড়ি মোটা সাহার কাছে হস্তান্তর করেন। পরে সেখানে আয়োজিত এক ধর্মীয় সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে ভালো-মন্দের সংঘাত চলে আসছে। আজকে এই দেশ পৃথিবীর সবাইকে অবাক করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে উন্নয়নের ছোঁয়া। তার মানে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘যে গতিতে আমাদের দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর হচ্ছে, তা আগামী ৫ বছর থাকলে দেশে কোনো গরিব পরিবার থাকবে না।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আপনারা স্বাধীন দেশের মানুষ। বাংলাদেশের সংবিধান আপনাদের সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার আপনারা নির্ভয়ে প্রয়োগ করবেন।’ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবাইকে বলব, আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত প্রয়োগ করবেন।’
ধর্মীয় সম্প্রীতি সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ছাড়াও পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, র্যাব-১৩-এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো।