ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পণ্য পরিবহনসহ কোন সেক্টরে কোন ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। সকল ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইজিপি আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, র্যাব, এটিইউ, পিবিআই, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, নৌ পুলিশের প্রধানগণ, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারগণ, রেঞ্জ ডিআইজিগণ, ডিআইজি (এফডিএমএন), সকল জেলার পুলিশ সুপার এবং বিশেষায়িত ইউনিট নৌ, হাইওয়ে, রেলওয়ে, ট্যুরিস্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কমান্ডারগণ ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
আইজিপি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং এবং পণ্যবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে কোন ইস্যু তৈরি করে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, কোন স্বার্থন্বেষী মহল সাইবার ওয়ার্ল্ডে গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে হবে।
আইজিপি পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশনা প্রদান করেন। বাসের ছাদে বা ট্রাকে যাতে যাত্রী পরিবহন করতে না পারে সেজন্য হাইওয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
আইজিপি বলেন, রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিশেষভাবে সতর্ক ও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আইজিপি গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে যেন কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিল্প পুলিশকে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।
সভায় আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস; ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিতব্য অনুষ্ঠানের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।