করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সরকারি ছুটি আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়াচ্ছে সরকার। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বুধবার বিকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে সরকারি আদেশ জারি হবে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে কিছু বিধি-নিষেধ শিথিল হলেও ঈদের সময় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বাংলাদেশে ঈদের ছুটি রয়েছে ২৪, ২৫ ও ২৬ মে। সেক্ষেত্রে ২৮ মে তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সাধারণ ছুটি হবে ৩০ মে পর্যন্ত। গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি চলছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এর আগে সর্বশেষ সাধারণ ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ ছুটির সময় কড়াকড়ি থাকবে, এবং এ সময় গণপরিবহন যেমন বন্ধ থাকবে, তেমনই কোন ধরণের ব্যক্তিগত গাড়িও এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াত করতে পারবে না এবং শহরের মধ্যে এগুলোর চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সবাইকে ঈদে নিজ নিজ বাড়িতে বা বর্তমান অবস্থানে থাকার জন্য তিনি আহবান জানান। সাধারণ ছুটির কারণে সড়ক, নৌ, রেল ও বিমান পথে যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে এরই মধ্যে গত ১০ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট খুলে দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এবং কিছু অফিসও এরই মধ্যে খুলেছে।
পাশাপাশি সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলে বিশ্বের আরো অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে, যাকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘লকডাউন’ হিসেবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৫ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে।