নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরা শহরে আল বারাকা ডেভেলপমেন্ট ফাউনডেশন নামে ভুয়া এনজিও অফিস খুলে চাকুরির কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বিকেলে সদর থানা পুলিশের অভিযানে দুই প্রতারককে আটক করা হয়।
রাতে একজনকে পলাতক দেখিয়ে তিনজনের নামে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চকদুয়ারি গ্রামের নবাব আলির ছেলে এ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্মকর্তা ইয়াছিন খান ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দামারপোতা গ্রামের নছির উদ্দিনের ছেলে রিজিওনাল কর্মকর্তা বায়েজিদ বোস্তামি।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, সাতক্ষীরায় বেকার যুবক-যুবতীরদের কাছ থেকে চাকুরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আল বারাকা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে এই ভুয়া এনজিও। প্রতারক চক্রটি পুরাতন সাতক্ষীরায় জনৈক মামুনের বাড়ির একটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম শুরু করে। চাকুরি দেয়ার নাম করে শহর উপকন্ঠের কাশেমপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে নাজমুল হুদার নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা নেয়। তার চাকুরি দেয়নি। খেজুরডাঙ্গা গ্রামের রফিকুলের ছেলে আরিফুল ইসলামের নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু তারও চাকুরি হয়নি। শহরের জেলখানা রোডের মৃত আব্দুল্লাহ'র মেয়েকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে অফিসে ডেকে এনে দর কষাকষি চলছিল। আরও দরকষাকষি চলছিল শহরের সুলতানপুর সাহাপাড়ার নুরুল হুদার সঙ্গেও।
এমন সময় সদর থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছে অফিসের এ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্মকর্তা ইয়াছিন খান ও রিজিওনাল কর্মকর্তা বাইজিদ বোস্তামিকে আটক করে। এ সময় পরিস্থিতি বুঝে পালিয়ে যান আরও একজন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ইয়াছিন খান জানান, এক লক্ষ টাকা জামানত দিয়ে ৭৫ হাজার টাকা বেতনের চাকুরি নিয়েছি বটে তবে এখনও এক মাসেরও বেতন তুলতে পারেনি। প্রকল্প আসলে বেতন উঠবে বলে জানান তিনি।
বাইজিদ বোস্তামি জানান, তার বেতন ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু তিনিও বেতন তুলতে পারেননি। ফলে তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এভাবে জালিয়াতি করছিলেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মারুফ আহম্মেদ জানান, অফিসের সকল কাগজপত্র, চেয়ার, টেবিল জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে একজনকে পলাতক দেখিয়ে মোট তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে। বাকিদের প্রক্রিয়া শেষে ছেড়ে দেয়া হবে।