সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার ০৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ০৮ জুলাই ২০২২ তারিখ বিকালে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার টেংরাখালী গ্রামে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের সাথে শ্যামনগর থানার রমজাননগর ইউপি আওয়ামী লীগের নেতাদের মিটিং চলাকালীন সাতক্ষীরা এলাকায় দাঙ্গা, হামলার মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টিকারী লাল্টু বাহিনীর প্রধান ও সুন্দরবনের বনদস্যু আব্দুল হামিদ লাল্টু এবং তার প্রধান সহযোগী আজগার আলী বুলু দ্বয়ের নেতৃত্বে ১১০-১২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, গাছি দা, লাঠি, হকিস্টিক, জিআই পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়৷ এ সময়ে হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্র, অফিসের সামনে থাকা মোটর সাইকেল ও কার্যালয়ের ভিতর থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে নষ্ট করে৷ এ সময় মিটিংয়ে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিবর্গ তাদের এই কর্মকান্ডে বাধা দিলে আসামীরা তাদেরকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে ৷ আসামীরা ভাংচুর করে ও ভিকটিমদের জখম করে চলে যায় ৷ এ সময়ে স্থানীয় লোকজন গুরুতর জখম অবস্থায় ১৮-২০ জনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত আমির হোসেনকে মৃত্য ঘোষনা করেন৷ গুরুতর আহত কাদের শেখও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স যোগে নেওয়ার পথে মৃত্য বরণ করেন ৷ এই সংক্রান্তে ভিকটিম মোঃ আব্দুল বারী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় ৭৩ জন এজাহার নামীয় আসামীসহ ৪০/৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ৷ ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের পর জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে ৷ সংগঠিত হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব-৬ এর একটি অভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং আসামীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৯ জুলাই ২০২২ তারিখ র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর জোড়াখুন মামলার আসামীরা কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি একই তারিখ রাত ২২.৪০ ঘটিকার সময় কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত লাল্টু বাহিনীর অন্যতম সদস্য আসামী ১। মোঃ নাসরি উদ্দীন কয়াল(৩২), ২। মোঃ আলাউদ্দীন গাজী(২৯), ৩। মোঃ সাদেক আলী গাজী(৩৯) ও ৪। আলমগীর হোসেন মালী(২২) সর্ব থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরাদেরকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৬ খুলনা সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।