আমরা ত্রাণ চাই না, বেঁড়িবাধ চাই না- দুর্গত অঞ্চল পরিদর্শন কালে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এমনই দাবি শুনেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এ.কে.এম এনামুল হক শামীম।
দুর্গম এলাকা সাতক্ষীরার শ্যানগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন ঘূর্ণিঝড় ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাঁধগুলো প্রশস্ত ও উঁচু এবং টেকসই করা হবে। মন্ত্রী আগামী তিন দিনের মধ্যে উপকুলের ১২ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ সংষ্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যেভাবে ঘূর্ণিঝড় ফনীর গতিবেগ ছিল সেভাবে আমাদের দেশে আঘাত আনার আগেই তা দুর্বল হয়ে পড়ে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এ সময় বলেন, সাতক্ষীরা ও খুলনার ঘূর্ণিঝড় ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি চোখে পড়েনি। তবে, কালবৈশাখী ঝড়েও আমাদের দেশে কম বেশি ক্ষয় ক্ষতি হয়। মন্ত্রী এ সময়, ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নির্মাণে টিন ও নগদটাকা প্রদানসহ সাতক্ষীরা জেলায় আরো ১০০টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ ও বেঁিড়বাধ সংস্কারের আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে দুই মন্ত্রী খুলনা ও সাতক্ষীরার উপকুলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে এ সব কথা বলেন ।
এরপর তারা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করেন। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, সদর এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মো:সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম, জেলা আওয়ালীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ। মন্ত্রীদ্বয় এ সময় প্রতিটি পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরন করেন।
এ সময় তারা ঘূর্র্ণিঝড় ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ ও বেঁড়িবাধসহ উপকুলীয় এলাকার বিভিন্ন সমস্যার খোঁজ খবর নেন।