সাতক্ষীরা সীমান্তে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় বিজিবির হাতে ৭জন আটক হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে একজন মানবপাচারকারী ও বাকী ছয় ভারত ফেরত বাংলাদেশী নাগরিক।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস ই.১.৬১৭ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমন প্রতিরোধকল্পে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্তে অবৈধ গমনাগমন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিজিবির পক্ষ হতে সীমান্তে সর্বদা কঠোর নজরদারী এবং টহল তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির সদস্যরা তলুইগাছা, মাদরা এবং ভোমরা বিওপি’র সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের প্রাক্কালে ৬জন বাংলাদেশী নাগরিক এবং ১জন মানব পাচারকারীকে আটক করেছেন।
আটককৃতরা হলেন-মাদারিপুর জেলার রাজৈর থানার টেকেরহাট গ্রামের হাসানের পুত্র সাজিদ (৪৫), সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার কেড়াগাছি গ্রামের মুর্শিদ আলীর পুত্র মোফাজ্জল হোসেন (৩৫), যশোরের মনিরামপুরের তকব্বার মোল্যার স্ত্রী আয়রা বেগম (৫৫), পিরোজপুর জেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত গগন খানের পুত্র মঞ্জুর খান (২৮), নড়াঈল জেলার কালিয়া এলাকার আজহার মোল্যার পুত্র আব্দুল্লাহ (২৮), কলসি গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের পুত্র রুহুল কাজী (৬৩) ও দিঘলিয়া গ্রামের মৃত ইউসুফ মোল্যার স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৫)। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ, পিএসসি।
৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ আরও বলেন, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির সদস্যরা গত ২৮ এপ্রিল ২০২১ হতে অদ্যাবধি দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারী, টহল তৎপরতা এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের প্রাক্কালে সর্বমোট ৪৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক এবং ৩ জন মানব পাচারকারী আটক করেছেন।
আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সদর উপজেলার পদ্মশাখরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে আটককৃত নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হবে। উল্লেখ্য, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও, আটককৃত মানব পাচারকারীকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, সাতক্ষীরা ৫ জুন হতে ৭দিনের লক ডাউন ঘোষণা করেছেন। লক ডাউন চলাকালীন জেলা প্রশাসন কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশাবলী সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস্তবায়নের জন্য বিজিবি’র জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও, কোভিড-১৯ এর সংক্রমন প্রতিরোধকল্পে সর্বক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করা, অবৈধভাবে সীমান্ত গমনাগমন না করা এবং কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইজিবাইক/ভ্যানযোগে মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.