সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর এলাকার সিটি এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের সম্পত্তি একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী কর্তৃক জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা ও সেখানকার কয়েকটি কক্ষে আগুন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ অভিযোগ করেন শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত ঈমান আলীর স্ত্রী মোছাঃ রহিমা বেগম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামীর ক্রয়কৃত সম্পত্তি যাহা বর্তমানে সিটি এগ্রো কমপেক্স লিঃ। যার রেজিঃ নং- ৫২৭৪৩(৩০৩৮)/২০০৪। আমি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। রইচপুর এলাকার একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী জোর পূর্বক উক্ত কমপেক্স দখল নেওয়ার পায়তারা করে আসছে। সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ইটাগাছা এলাকার মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর নেতৃত্ব কুদ্দুস গং আমার কমপ্লেক্স বিভিন্ন সময় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে লুটপাট চালায়। গত ৩১/০৮/২০১৮ তারিখে রাত্র অনুমান ১২ টার সময় আমার দুই কর্মচারী সাদ্দাম হোসেন ও আসাদুলকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ সব ঘটনায় অমি থানায় জিডি ও মামলা করি। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার মধ্যরাতে ৭ কক্ষ বিশিষ্ট্য উক্ত কমপ্লেক্স ঐ সন্ত্রাসী বাহিনী আগুন লাগিয়ে দেয়। আমার কমপ্লেক্সের কর্মচারী আব্দুল বারকের ডাক চিৎকার আমরা আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। আগুন নিয়ন্রনে না আনতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস ভোর রাতে এসে আগুন নিভায়। ততক্ষণে ৫টি কক্ষ আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হয়। সন্ত্রাসীদের দেয়া আগুনে আমার আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন মালামাল আগুনে ভষ্মিভূত হয়।
তিনি বলেন, আমার স্বামীর ক্রয়কৃত একশত একর সম্পত্তি ভোগ দখল থাকা অবস্থায় সরকারের সাথে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা চলমান। অথচ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু গং এই সম্পত্তিতে বেআইনীভাবে অবৈধ প্রবেশ করে মাছ ও ধান লুটপাট করে। আমার সন্তানেরা বাধা দিতে গেলে তাদের উপর তারা হামলা চালায়। আমিসহ আমার সন্তানের নামে তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বার বার হয়রানী করছে। আমার পরিবারকে তারা বিভিন্ন সময় খুন-জখম করার হুমকি দেয়। যার জের হিসেবে তারা এই অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায়।
এমতাবস্থায় বিধবা রহিমা বেগম তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা, ন্যায় বিচার এবং উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, মেয়ে রুনা,জামাই ইয়াছিন আরাফাত অন্তু, পারভীন ও তার আত্মীয় ফরিদ হোসেন।
সূত্র:Crimewatchbd24 ডটকম।