আলতাফ হোসেন বাবু ::‘ঘরে ঘরে সুপেয় পানি’ স্লোগানে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহিদ স.ম আলাউদ্দীন মিলনায়তনে সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. মো. আবুল কালাম বাবলা, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সুভাষ চৌধুরী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিছুর রহিম, সদর

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সুশীলন’র সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার জিএম মনিরুজ্জামান, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, আলীনুর খান বাবলু, টিআইবির সাতক্ষীরা জেলা ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ, কাজী আকতার, নাজমুল আলম মুন্না প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ৯৭ ভাগ মানুষের পানিতে অভিগম্যতা থাকলেও লবণাক্ততা, আর্সেনিক ও আঞ্চলিক দূর্গমতা বিবেচনায় সুপেয় পানি নিরাপদ পানিতে ৬০ ভাগ মানুষের অভিগম্যতা নাই। এ প্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সুস্পষ্ট অঙ্গিকার এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষে এ মতবিনিময় সভা করা হয়।

পরবর্তীতে এসব বিষয় সমূহ সরকারী কর্ম পরিকল্পনায় অন্তভূক্ত করে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তাবনার কথা জানান বক্তারা। ” উপকূলীয় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ফোরামের ৭ টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

সেগুলো হলো দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবী” ঘরে ঘরে সুপেয় পানি” নিশ্চিত করা, ক্রমবর্ধমান ললবনাক্ততা ও আর্সেনিক সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা, সিএস খতিয়ান অনুযায়ী সরকারি পুকুর, খাল ও জলাধার উদ্ধার করে মিষ্টি পানির আধারে পরিণত করা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা, টেকসই ও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ‘পয়ঃবর্জ ব্যবস্থাপনা’ এর যথাযথ বাস্তবায়নসহ জনসমাগম স্থল এবং সকল

প্রতিষ্ঠানে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবাস্তব স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিত করা, দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া প্রামীণ এলাকা এবং শহরের বস্তি ও নিন্ম আয়ের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীসহ সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সেবা নিশ্চিত করতে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি শহর ও গ্রামের মধ্যে বিনিয়োগের ন্যায্যতা নিশ্চিত করা, অবকাঠামো নির্মাণ সহ যে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডে জলাভূমি রক্ষা এবং পানির স্বাভাবিক প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত

করাসহ পানি ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে নতুন স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি পুরাতন স্থাপনাগুলোকে সংস্কার ও মেরামতের মাধ্যমে সচল রাখার জন্য বাজেট প্রদান ও উদ্যোগ গ্রহন করার দাবি জানান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপকূলীয় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ফোরাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহী।