ইব্রাহিম খলিল:সাতক্ষীরায় বর্ণিল আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশের পালিত হচ্ছে বাঙালী জাতির পুরাতন ইতিহাস ও লোকজ ঐতিহ্য বহনকারি সাংস্কৃডুশ উৎসব পহেলা বৈশাখ।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে দুই দিন ব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। রোববার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঙালীয়ানা সাজ ও হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়। মঙ্গল শোভা যাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। এসময় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ২দিন ব্যাপি মেলার উদ্বোধন করা হয়।
বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম , জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, প্রেস ক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পদন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ,সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মেরিনা আক্তার,কালিগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি জামিরুল ইসলাম,সদর উপজেলার বিঞ্জ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার জনাব দেবাশীষ চৌধুরী,দেবহাটা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ইয়াছীন আলী,তালা সার্কেল এএসপি হুমায়ুন কবির,জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ হাশমী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান,সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম(মধু),ডিবির পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান,ডিবির পরিদর্শক হারাণ চন্দ্র,সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেেশন্স)  সেকেন্দার আলী,ইন্সপেক্টর (ইন্টেলিজেন্স) আবুল কালাম,সেকেন্ড অফিসার নজরুল ইসলাম,  ক্রিয়া সংস্থার খন্দকার প্রিন্স প্রমুখ।

এছাড়া বিকেলে পৌর দিঘীতে হাঁস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে হাডুডু খেলা, লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই, সঙ্গীত প্রতিযোগীতাসহ দিনব্যাপি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সাতক্ষীরার সকল গ্রাম গঞ্জে পহেলা বৈশাখের আয়োজন পালনের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। গ্রামের মানুষের ভাবনা ভোরে ঘুম থেকে উঠা, নতুন জামা কাপড় পড়া এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া। বাড়িঘর গুলো সুন্দর করে সাজানো। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা এবং সবাই একটি নির্দিষ্ট স্থানে মিলিত হয়ে নানান রকম খেলার আয়োজনের মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। সন্ধ্যায় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায়।