সাতক্ষীরা মাঠগুলোতে এখনো খেলা করছে সোনালি পাকা ধান । কৃষক সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করছে ধান কেটে ঘরে তোলার কাজে । আর এরি মধ্যে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ জেলায় আঘাত হানার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ।
এই জন্য আজ বিকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , উপজেলা চেয়ারম্যান সহ গুরুত্ব পূর্ণ দায়িত্বে থাকা সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে নিয়ে এক জরুরি সভার আয়োজন করেন জেলা প্রশাসক ।
এ মুহূর্তে এর গতিপথ যেভাবে রয়েছে তাতে প্রথমে এটি ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত করবে। এরপর পশ্চিম বাংলায় আঘাত হানতে পারে । কিন্তু এর গতিপথ যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে সমুদ্রের কোলঘেঁষে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানবে। যদি তা হয়, এটি খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম হয়ে ভয়াবহ আকারে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
বিগত দুর্যোগ সিডর বা আইলার সময় সাতক্ষীরা যেমন ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হয় । এবার পূর্ব পরিকল্পনার ও প্রস্তুতির মাধ্যমে তা রোধ করা যাবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।
সভায় বিশেষ করে শ্যামনগরে, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাধ গুলোতে বালুর বস্তা ফেলা ও দুর্যোগ কালীন সময় সকলকে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার ব্যাপারে সর্তক থাকার কথা বলা হয়েছে ।
সেই সাথে সাত নম্বর সিগনাল পাওয়ার পর সকল কে বাধ্যতা মূলক ভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলাপ্রশাক ।
দুর্যোগ কালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলার যাতে কনো অবনতি না হয় সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । দুর্যোগের পর যতদ্রুতো সম্ভব রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ গাছালি ও বৈদ্যুতিক লাইনের মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া সিদ্ধান্ত হয় ।
সভায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন , আমরা ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি । আশাকরি বিগত বছর গুলোতে যে জান মালের ক্ষতি হয়েছে তা এবার কাটিয়ে উঠতে পারবো । জন প্রতিনিধি ভলান্টিয়ার সহ আমাদের মেডিকেল টিম সদা তৎপর থাকবে । দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ের জন্য আমরা একাধিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি । এর মধ্যে এলাকা গুলোতে পতাকা টানানো , মসজিদ, মন্দির, স্কুল ও জন প্রতিনিধিদের দিয়ে এলাকায় সর্তক করা হচ্ছে । আশ্রয় কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত করা হয়েছে । এবং পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ।