সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আপ্রান চেষ্টায় শিশু শ্রমের হাত থেকে বেঁচে গেলো ১৭ জন শিশু।সূত্র জানায়,বুধবার রাত ১২ টার দিকে শহরের মোজাহার পেট্রোল প্যাম্পের সামনে থেকে গাড়ি ভর্ত্তি ১৭ জন নাবালক শিশুদের কে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান সাদেক আপডেট সাতক্ষীরা কে জানান,আমার কাছে খবর আসে শ্যামনগর উপজেলা থেকে ১৭ জন শিশু কে ইটের ভাটায় কাজ দেওয়ার নাম করে তাদের কে বরিশালে পাচার করা হচ্ছে।উক্ত খবরের ভিত্তিতে আমি সহ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, সেন্ট্রাল সদস্য ওয়াহিদ পারভেজ,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রবিন,কলেজ ছাত্রলীগের সেক্রেটারী কালাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ রাত ১১ টা থেকে সাতক্ষীরা শহরের বাঙালের মোড় থেকে বাস টার্মিনাল এলাকা পর্যন্ত প্রত্যেকটি সন্দেহভাজন যানবহনে শিশু গুলোকে উদ্ধারের জন্য খোজা-খুজি করি।এক পর্যায়ে শহরের মোজাহার পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে তাদের কে একটি গাড়ি থেকে নামিয়ে নেই। জেলা ছাত্রলীগ সেক্রেটারী সাদেক আরো জানান,শিশু গুলোকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আমরা সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মেরিনা আক্তার আপু কে ফোন করি শিশুগুলোকে উদ্ধার করার জন্য।আমাদের ফোন পেয়ে তৎখনাত সদর সার্কেল ঘটনাস্থলে চলে আসেন এবং শিশু গুলোর পাসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।পরে পুলিশের সহযোগীতায় ১৭ জন শিশু কে সাতক্ষীরা থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।শিশু গুলোর বয়স আনুমানিক ১৩-১৪ বৎসর বা চার চাইতে কম হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদেক জানান, ইয়াছিন সহ তিন জন দালাল কে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।সাদেক আরো জানান,উদ্ধার কৃত ১৭ জন শিশু কে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।আগামীকাল সকালে তাদের পিতা-মাতা বা অবিভাবক দের কে ফোন করে ডেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রোজা উল ইসলাম রেজা ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান সাদেক।