সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তদের হাতে জখম শিশু শাহীনের ভ্যানটি উদ্ধার করেছে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে। আটকৃতরা হলেন, নাঈমুল ইসলাম নাঈম, আরশাদ পাড় ও বাকের আলী।
সোমবার সকালে সন্দেহভাজন হিসেবে নাঈমকে তার বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে আরশাদ পাড় ও বাকের আলীকে আটক করে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ এর নেতৃত্বাধীন চৌকশ টিম।
বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো.সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম বলেন, ঘটনার সঙ্গে আরও ৩-৪ জন জড়িত রয়েছে। কিন্তু তাদের নাম প্রকাশ করেননি পুলিশ সুপার।
এ চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযানে অংশ নেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক জনাব হারাণ চন্দ্র,সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদুল ইসলাম,সাব-ইন্সপেক্টর হাফিজ, এএসআই বিষ্ণু ঘোষাল,এএএসআই শরিয়াতুল্লাহ ও সঙ্গীয় ফোর্স। অভিযানে কেশবপুর থানা পুলিশ সার্বিকভাবে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ঐ চৌকশ টিম কে সহযোগিতা করেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার যশোরের কেশবপুরের গোলাখালী মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহীন সকালে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে রোজগারে বের হয়েছিল। দুপুরে দুর্বৃত্তরা ভ্যানটি ভাড়া নেয়। পরে ধানদিয়া গ্রামের হামজামতলা মাঠে ঢুকে একটি পাটখেতের পাশে দুর্বৃত্তরা শাহীনের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। জ্ঞান ফিরলে কাঁদতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়।
শাহীনকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনার আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে আনা হয়। শনিবার রাতেই তার মাথার অপারেশন সম্পন্ন হয়।