বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারন সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল কে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের ২৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় নেতা মীর মহিতুল আলম মহি,সাবেক ছাত্রলীগের সফল সভাপতি কাজী আকতার হোসেন,যুবলীগ নেতা মীর মাহামুদ আলী আবির,সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান লিটু সহ কমিটির সকল সদস্য বৃন্দ।
প্রাসংঙ্গত :ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন (যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি) মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে ভাবমূর্তি সঙ্কটে পড়া যুবলীগকে উদ্ধারের এ দায়িত্ব তিন বছর পালন করবেন পরশ-নিখিল।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের কংগ্রেসের উদ্বোধন করার পর বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বসে কাউন্সিল অধিবেশন।
সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনের এ অধিবেশনে কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক চয়ন ইসলাম পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে পরশের নাম প্রস্তাব করলে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ তা সমর্থন করেন। এ পদে আর কোনো নামের প্রস্তাব না ওঠায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পরশ।
পরে অধিবেশনস্থলে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল বর্তমান পদবি থেকে অব্যাহতি নিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ভিত কেঁপে ওঠে যুবলীগের। এক পর্যায়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওমর ফারুক চৌধুরীকে। পরে সংগঠন পরিচালনায় গঠিত হয় কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটি।
যুবলীগের চেয়ারম্যান পদে কে আসছেন, তা নিয়ে গত বেশ কিছুদিনের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি আসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির দুই ছেলে শেখ ফজলে নূর তাপস ও শেখ ফজলে শামস পরশের নামই।
সংসদ সদস্য তাপস বর্তমানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব। ফজলে শামস পরশ এতদিন রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ব্যক্তিত্ব হিসেবে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। শেষ পর্যন্ত পরশকেই দেওয়া হলো আওয়ামী লীগের যুবসংগঠনের প্রধান দায়িত্ব।