♣♣♣
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আইন-শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ এই ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাবো বলে মন্তব্য করেছেন সাতক্ষীরা সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য যোগদানকারী পুলিশ পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য সাতক্ষীরা সদর উপজেলাকে সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও নাশকতা থেকে মুক্ত রাখা। এ জন্য তিনি সংবাদকর্মী, পুলিশ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ আলাউদ্দিন মিলনায়তনে এক জনাকীর্ণ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পুলিশের আরও দুই ইন্সপেক্টর মো. শরিফুল ইসলাম ও মোহিতুল ইসলামসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ কচি, দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির আবুল কাসেম, খবরপত্রের রবিউল ইসলাম, মানবকন্ঠের অসীম চক্রবর্তী, যুগের বার্তার আমিনুর রশীদ, মোহনা টিভির আবদুল জলিল, সমাজের কাগজের আমিরুজ্জামান বাবু, দৈনিক যশোরের সেলিম রেজা মুকুল, খোলা কাগজের মো. ইব্রাহিম খলিল, ভোরের ডাকের মোহাম্মদ আলি সুজন, গ্রামের কাগজের রেজাউল ইসলাম ও মানবজমিনের ইয়ারব হোসেন প্রমূখ। তারা পুলিশের কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, আমরা চাই সাতক্ষীরা হবে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত। সাতক্ষীরা হবে জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও চোরাচালানমুক্ত। এক কথায় অপরাধমুক্ত সাতক্ষীরাই আমাদের প্রত্যাশা।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের দিক নির্দেশনা প্রয়োজন। তারা পুলিশের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিতে পারেন। তাদের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রেস ও পুলিশের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় ক্রাইসেস মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণার প্রতিশ্রতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ছোট হোক বড় হোক কোনো মাদক কারবারি মাথা উঁচু করে থাকতে পারবে না। আমরা তাদের নির্মুল করে তাদের পরিবারকে বাঁচাতে চাই, সমাজকে বাঁচাতে চাই। তিনি সাংবাদিকের কাছে গোপনে তাদের নাম জানতে চেয়ে বলেন, ‘আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবো। সেকত্ষতে কে নাম দিলেন তা প্রকাশ করা হবে না বলে জানান তিনি।
তিনি যোগদানের পরদিনই শহরে সংঘটিত একটি কথিত ডাকাতির বিষয় তুলে ধরে পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এটা যে ডাকাতি তা প্রমানিত হয়নি’। তবু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি নিয়ে বাড়ির মালিক কোনো মামলাও দিতে সম্মত হননি। এছাড়া বুধবার ফয়জুল্লাহপুরে একজন নারীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে খুন করার ঘটনায় আসামিকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামি তার অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি। ওসি আরও বলেন আমরা জনগণের নিরাপত্তা দিতে সব সময় প্রস্তুত। এ জন্য জনগণের সহযোগিতা দরকার সবার আগে। তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘আপনাদের দিক নির্দেশনা আমাদের চলার পথে খুবই জরুরি’। পুলিশ তার ভাবমুর্তি রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই সুযোগে সন্ত্রাসী ও নাশকতাসৃষ্টিকারীরা মাথাচাড়া দিতে পারে এমন আশংকা ব্যক্ত করে সাংবাদিকরা বলেন, এদের প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকতে হবে। আসামিদের যাচাই বাছাই করে ধরার দাবি জানিয়ে তারা আরও বলেন, নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে পুলিশকে সচেতন থাকতে হবে। পুলিশের তালিকা থেকে জামায়াতের নাম কাটানো কিংবা মাদকের নাম কাটানোর জন্য একটি মহল সব সময় তৎপর রয়েছে জানিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা প্রকৃত অপরাধী পুলিশ যেনো তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, পুলিশের কোনো ভুল হয়ে থাকলে তা সংবাদকর্মীরা চিহ্নিত করে দিতে পারবেন।
তথ্য সরবরাহঃ পত্রদূত নেট।