মীর আবু বকর : সাতক্ষীরা সদরে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সম্পূর্ণ অবাধ সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ স্বতঃস্ফুর্ত ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলে ভোট গ্রহন। ভোট কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধ শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় দুুই একটি অপ্রীতিকর ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল কেন্দ্র গুলিতে শুরু থেকে উপস্থিতি একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কেন্দ্র গুলিতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়। ভোটারদের ভোট কেন্দ্র মুখি করনে ইউপি সদস্যদের প্রচেষ্টা ছিল চোখে পড়ার মত। সকল কেন্দ্রে আলাদা সারিতে দাড়িয়ে নারী পুরুষ উৎসবমুখর পরিবেশে পছন্দের প্রতীকে ভোট প্রদান করেছেন। শান্তিপূর্ণ ভোটে উৎসবে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে বৈকারী খলিলনগর কেন্দ্র থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান অছলে সহ কয়েক জন আহত হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশৃংখল পরিস্থিতির অবসান ঘটে। তবে ঐ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটের কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। সদরের ১৩ ইউপিতে অনুষ্ঠিত ভোটে তেমন কোন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি কেন্দ্রে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অনাকাংখিত পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর ছিল। শুধু তাই নয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স টহল ছিল চোখে পড়ার মত। পাশাপাশি নির্বাচন এলাকায়, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করেন। ভোট কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদের কাছে ভোটার সিলিপ বিতরন করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর সমর্থকরা পছন্দের প্রার্থীর প্রতীক নিয়ে ক্যাম্পিং ও ভোটারদের আকর্ষন করতে থাকে। এবার দলীয় প্রতীকে নৌকা, লাঙ্গল প্রতীকের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আ’লীগের একাধিক প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। ভোটাররা পরিচ্ছন্ন ও সৎ ব্যক্তিকে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে অভিভাবক হিসাবে গ্রহন করেন। একাধিক ভোটার স্বতঃস্ফুর্ত সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোট প্রদান করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩ ইউপিতে বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা হলেন-বৈকারী বিজয়ী হলেন জেলা তরুন লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মটরসাইকের প্রতীকের ৭৭৭৮ ভোট, নিকটতম আছাদুজ্জামান অছলে নৌকা প্রতীকে ৮২২ ভোট পেয়েছেন। বাশদহা মাষ্টার মফিজুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৫১৩১ ভোট, তার নিকটতম নাজমুল হাসান মটর সাইকেল প্রতীকে ৩৩৭০ ভোট পেয়েছেন। কুশখালী মাওলানা আব্দুল গফফার টেবিল ফ্যান প্রতীকে ৪৩৭৫ ভোট, তার নিকটতম গোলাম মোস্তফা অটোরিক্সা প্রতীকে ২৫০৮ ভোট পেয়েছেন। ঘোনায় আব্দুল কাদের মটর সাইকেল প্রতীকে ৪৫৯৯ ভোট তার নিকটতম ফজলুর রহমান মোশা নৌকা প্রতীকে ২৬৫০ ভোট পেয়েছেন। আগরদাড়ী কবির হোসেন মিলন টেবিল ফ্যান প্রতীকে ৭৫৫০ ভোট, তার নিকটতম মইনুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৩৮৮০ ভোট পেয়েছেন। ঝাউডাঙ্গায় আজমল হোসেন নৌকা প্রতীকে ১০৬১৬ ভোট, তার নিকটতম রফিকুল ইসলাম মটর সাইকেল প্রতীকে ৮৪৫৯ ভোট পেয়েছেন। ভোমরায় ইসরাইল গাজী মটর সাইকেল প্রতীকে ৬৫৭১ ভোট, তার নিকটতম বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৪৭০৮ ভোট পেয়েছেন। শিবপুর সাংবাদিক এসএম আবুল কালাম আজাদ আনারস প্রতীকে ৭৪৩৪ ভোট, তার নিকটতম শওকত হোসেন নৌকা প্রতীকে ৩৮১৭ ভোট পেয়েছেন। লাবসায় আব্দুল আলিম আনারস প্রতীকে ১৬৩৮৭ ভোট, তার নিকটতম নজরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকেক ৩৩৭৫ ভোট পেয়েছেন। বলী ইউনিয়নে এড. মহিতুর রহমান আনারস প্রতীকে ৪৫৫৪ ভোট, তার নিকটতম শেখ হাবিবুর রহমান চশমা প্রতীকে ৪০১১ ভোট পেয়েছেন। ধুলিহরে বিজয়ী হয়েছেন মিজান চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৮২৫৮ ভোট, তার নিকটতম মিজানুর রহমান বাবু নৌকা প্রতীকে ৭০৯৩ ভোট পেয়েছেন। ফিংড়ী লুৎফর রহমান স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকে ১০১৩৭ ভোট, তার নিকটতম আজাদুল ইসলাম চশমা প্রতীকে ৫৩১৯ ভোট, ব্রহ্মরাজপুর আলাউদ্দীন নৌকা প্রতীকে ৭২৩৫ ভোট, তার নিকটতম বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৩৮৫৪ ভোট পেয়েছেন।