সাতক্ষীরা সদরে গৃহহীনদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে মুজিব বর্ষের উপহার আশ্রায়ন প্রকল্প। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দিবাশীষ চৌধুরী প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করছেন। ফলে এগিয়ে চলেছে আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় জমি নেই, ঘর নেই শ্রেণির প্রথমধাপে অনুমোদিত ভূমিহীন ও গৃহহীন ১৩০ পরিবারের জন্য সরকারি জমিতে সরকারি খরচে নির্মাণাধীন বাসগৃহের নির্মাণ কাজ।
ইতোমধ্যেই নির্মাণাধীন এসব বাসগৃহের নির্মাণ কাজ দুই তৃতীয়াংশ শেষ হয়েছে। ফলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত অন্যতম যুগান্তকারী এ প্রকল্প। উপজেলার বসবাসরত যেসকল পরিবারের জমি নেই এবং বসবাসের ঘর নেই কেবলমাত্র সেসকল পরিবারকে এ প্রকল্পের আওতায় সরকারি জমিতে, সরকারি খরচে বাসগৃহ নির্মাণ করে পূনর্বাসন করছে সরকার। এমনকি যাতে করে এসকল পরিবার পরবর্তীতে কখনো গৃহহীন না হয় সেজন্য সরকারি ওই জমিসহ বাসগৃহ তাদের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তদিয়ে দলিল করে দিচ্ছে সরকার।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দিবাশীষ চৌধুরী তত্ত্বাবধানে ও তদারকিতে এসকল বাসগৃহ নির্মাণের কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে। প্রতিনিয়ত তিনিসহ উপজেলা টাস্কফোর্স ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন ও দেখাশুনাও করছেন।সুবিধাভোগী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মতামত, পরামর্শ, ও অভিযোগ মোতাবেক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কোনো সমস্যা দেখা দিলে দক্ষতার সাথে সেগুলোর তাৎক্ষণিক সমাধানও করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিবাশীষ চৌধুরী।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে প্রথম ধাপে অনুমোদিত ১৩০টি বাসগৃহের মধ্যে বাশদহ ইউনিয়নে ১০টি ঘর, আগরদাড়ি ইউনিয়নে ১৮টি, বল্লী ইউনিয়নে ৯টি, শিবপুর ইউনিয়নে ৯টি, ভোমরায় ২টি, আলীপুর ১০টি, লাবসায় ৫টি এবং ফিংড়ি ৫৪টি ঘরের নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে। সরকারি একলক্ষ একাত্তর হাজার টাকা ব্যয়ে প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য নির্মাণাধীন বাসগৃহে দুটি বেডরুম, একটি কিচেন, একটি বাথরুম, একটি বারান্দাসহ পরিবারের সদস্যদের ঘোরাফেরার মতো বেশ কিছুটি ইউটিলিটি স্পেস রেখে ডিজাইন মাফিক বাসগৃহ গুলো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার ইয়ারুল হক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূনর্বাসনে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। সার্বক্ষনিক নির্মাণকাজ তদারকি এবং ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিশ্চিত করা হচ্ছে।
পাশাপাশি যাতে করে কোনো প্রকার দুর্নীতি-অনিয় ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী এ প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন এবং ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মাঝে বসবাসের ঘরগুলো হস্তান্তর সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ইউএনও দিবাশীষ চৌধুরী।
- সংবাদ পত্রদূত নেটের।