নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার সিটিজেন জার্নালিস্টের সততা দেখে মুগ্ধ হলেন সাতক্ষীরার কিংবদন্তী জেলা প্রশাসক জনাব আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন ও বিআরটিএ'র Assistant Director তানভীর আহম্মেদ চৌধুরী।
সূত্র মোতাবেক জানা যায় গতকাল ১০ ই ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ রাত ৯.৬৫ মিনিটে সাতক্ষীরার সিটিজেন জার্নালিস্ট ও ১০ টাকার ডাক্তার ডাঃ এবাদুল্লাহ সাহেবের ছেলে জিমি তার ব্যক্তিগত আইডি Md Neyaz Zime থেকে একটি পোষ্ট আপলোড করে।পোষ্টটি ছিল হারিয়ে যাওয়া (মটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন+ড্রাইভিং+ইন্সুরেন্স) কুড়িয়ে পাওয়া সম্পর্কিত একটি পোষ্ট।
উক্ত কুড়িয়ে পাওয়া কাগজে মালিকের কোন মোবাইল নাম্বার দেওয়া ছিলনা।বিধায় উক্ত মালিকের পরিচয় সনাক্ত করার লক্ষে পোষ্টটি বিআরটিএ'র উপ-পরিচালক খুলনা বিভাগ Zeaur Rahman Babu এর fb id এবং সাতক্ষীরার বিআরটিএ এডি Tanvir Ahmed Chowdhury কে ট্যাগ করা হয় এছাড়াও পোস্টটি Deputy Commissioner fb id তে ট্যাগ করা হয়।পোষ্টটি ট্যাগ করার সাথে সাথে সাতক্ষীরা বিআরটিএ এডি Tanvir Ahmed Chowdhury পোষ্টটি তে কমেন্ট করেন,আগামী কাল সকাল ১০ টার দিকে আসবেন আমি আমার অফিসের সহকর্মীদের সহযোগীতায় সার্ভারের মাধ্যমে কাগজের মালিক কে খুজে বের করে,তাকে পেপার্স গুলো দিয়ে দিব।
ফেইজবুকের কমেন্ট করা উক্তিটির বাস্তবায়ন দেখা গেল পরের দিন সকাল ১০.৩১মিনিটে।যথা সময়ে বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক তানভীর আহম্মেদ ফোন দেন সিটিজেন জার্নালিস্ট জিমি কে।ফোন করে তিনি বলেন,কুড়িয়ে পাওয়া কাগজের মালিক আশাশুনির বদরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।আমরা তাকে ডেকেছি, বিধায় তিনি এসেছেন।আপনি এখনই উক্ত কাগজ পত্রগুলো নিয়ে ডিসি অফিসে চলে আসেন প্লিজ।ফোনের সাড়া পেয়ে সিটিজেন কুড়িয়ে পাওয়া কাগজ গুলো নিয়ে সোজা বিআরটিএ অফিসে গেলেন।অতপর,কাগজের মালিক বদরতলা সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক রাজিবুল আলম কে নিয়ে সোজা জেলা প্রশাসকের রুমে গেলেন,বিআরটিএ'র এডি ও সিটিজেন জার্নালিস্ট জিমি।
অতপর,সাতক্ষীরা জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক নিজ হাতে পেপার্স গুলো তুলে দিলেন কাগজের মুল মালিক ও সহকারী শিক্ষক রাজিবুল আলমের হাতে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)জনাব আব্দুল লতিফ খান,জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তালেব,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত,সহকারী পরিচালক ( BRTA)তানভীর আহম্মেদ চৌধুরী সহ সিটিজেন জার্নালিস্ট জিমি।
হারিয়ে যাওয়া কাগজ গুলো পেয়ে উক্ত সহকারী শিক্ষক রাজিবুল আলম আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলেন,দেশে এখনও ভাল মানুষ আছে বলে,আজও রোজ কেয়ামত আসেন নি।এটি আমার ডিসকর্ভার সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন পেপার্স, ড্রাইভিং ও ইন্সুরেন্স।কাগজ গুলো হারিয়ে যাওয়াতে আমি ট্রাফিক সার্জেন্টের ভয়ে আজ ২ দিন প্রধান সড়কে গাড়ি বের করতে পারিনি।কাগজ গুলোর না পেলে আমার খুব ভোগান্তির স্বীকার হতে হতো।আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপনাদের প্রতি।আল্লাহ পাঁক আপনাদের মঙ্গল করুন ইত্যাদি বলে তিনি প্লাস্টিকের ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ অন্যান্য কাগজ পত্র বুঝে নিয়ে চলে যান।