"প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ"
(সকল ধরনের সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হোক। সাম্প্রদায়িক চেতনা সম্পন্ন মানুষ মুক্তচিন্তার কাজে যুক্ত হতে পারে না)
গত ১৯/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখে দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকায় ‘’কালিগঞ্জে ৮০ হাজার টাকায় তিন জনকে মুক্তি’’ শীর্ষক শিরোনামে, একই তারিখে দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায় “বাংলাদেশিকে ভারতীয় বানালো পুলিশ” শীর্ষক শিরোনামে, গত ২৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “গ্রাম ঘুরে লোক ধরে বাংলাদেশিকে ভারতীয় বানালেন এসআই” শীর্ষক শিরোনামে এবং গত ২৪/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখে দৈনিক যুগান্তর অনলাইনে “ঘুষ না পেয়ে বাংলাদেশিকে ভারতীয় সাজিয়ে গ্রেফতার, এসআই বদলি” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদগুলোর প্রতিবাদে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৬/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত ১০:০০ ঘটিকার সময় কালিগঞ্জ থানাধীন ডেমরাইল গ্রামে জনৈক সরজিৎ (২৫) এর বাড়িতে ভারতীয় নাগরিক কমলেশ (৪০) পিতা-মৃত রাধাকান্ত মন্ডল, গ্রাম-লেবুখালী, থানা-হিংগলগঞ্জ, জেলা-উত্তর চব্বিশ পরগোনা, ভারত টক্কর (তক্ষক) সাপ ক্রয় করার জন্য অবস্থান করছে এরূপ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই/জিয়ারত হোসেন, এএসআই/ জিল্লুর রহমান, এএসআই/ রাসেল মাহমুদ, কং/৬৭৩ ইমাম হোসেন সংবাদের সত্যতা যাচাই এর জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেখানে বাড়ির মালিক সরজিৎ ও কমলেশদ্বয়কে পান এবং ঘরের আড়ার সাথে একটি টক্কর (তক্ষক) সাপ দেখতে পান। তখন এসআই(নিঃ)/ জিয়ারত হোসেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কালিগঞ্জ সার্কেল ও কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং একই সময়ে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের ০৪ জন বিজিবি সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সকলের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদে কমলেশ নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে তার নাম ও ঠিকানা কমলেশ (৪০) পিতা-মৃত রাধাকান্ত মন্ডল, গ্রাম-লেবুখালী, থানা-হিংগলগঞ্জ, জেলা-উত্তর চব্বিশ পরগোনা, ভারত বলে প্রকাশ করে এবং স্বীকার করে টক্কর (তক্ষক) সাপ ক্রয় করার জন্য অবৈধ পথে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে এসেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে টক্কর (তক্ষক) সাপটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। টক্কর (তক্ষক) সাপ চোরাচালানের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। কমলেশসহ ২। সরজিৎ (বাড়ির মালিক), পিতা-মনোয় মন্ডল ৩। দেবেন মন্ডল, পিতা-কালিপদ মন্ডল ও ৪। সুভাষ, পিতা-নিরাপদ মন্ডল, সর্ব সাং-ডেমরাইল, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-সাতক্ষীরাদের অধিকতর অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কালিগঞ্জ থানায় নেওয়া হয়। থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে কমলেশ পুনরায় কমলেশ ভারতের নাগরিক বলে পরিচয় প্রকাশ করে এবং অবৈধ পথে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে এসেছে বলে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে বাকি ১। সরজিৎ ২। দেবেন ৩। সুভাষ এর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে থানা থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের অভিভাবকদের নিকট মুক্তি দেওয়া হয়
কমলেশের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানার মামলা নং-৩৫ তারিখ-১৭/০৪/২০২১ খ্রিঃ ধারা-দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট এর ৪ রুজু করা হয় এবং আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে কমলেশের পক্ষে তার আত্মীয় স্বজন শ্যামনগর থানা কাচরাহাটি গ্রামের ঠিকানায় একটি এনআইডি কার্ড কালিগঞ্জ থানায় প্রদর্শন পূর্বক কমলেশকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করে। কমলেশ একাধারে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে। এটিই প্রকৃত ঘটনা।
পক্ষান্তরে, আপনাদের স্ব–স্ব পত্রিকায় প্রকশিত “কালিগঞ্জে ৮০ হাজার টাকায় তিন জনকে মুক্তি’’, “বাংলাদেশীকে ভারতীয় বানালো পুলিশ”, “গ্রাম ঘুরে লোক ধরে বাংলাদেশিকে ভারতীয় বানালেন এসআই” এবং “ঘুষ না পেয়ে বাংলাদেশিকে ভারতীয় সাজিয়ে গ্রেফতার, এসআই বদলি” শীর্ষক সংবাদগুলো সম্পূর্ন অসত্য এবং প্রকৃত ঘটনার অপব্যাখ্যা। পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও পুলিশকে নিরুৎসাহিত করার জন্য পত্রিকা গুলোতে এরূপ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যা আদৌ কাম্য নয়। অসত্য এবং প্রকৃত ঘটনার অপব্যাখ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার, পুলিশ সুপার, বিশেষ শাখা ও পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা।