লক্ষ লক্ষ পূর্ণার্থী ও দর্শনার্থীদের আগমনে উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে সুন্দবনের দুবলার চরে (আলোরকোলে) রাস মেলা। সূত্রে মতে গত ২১ হতে ২৩ই নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিন বনবিভাগ ৮ টি রুটে দুবলার চরের রাস মেলায় আসার পথ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এছাড়া সরকারী বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। রাসপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে গত বৃস্পতিবার রাস মেলা কমিটির আয়োজনে রাতে উদ্বোধনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতি বছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তীথিতে সুন্দরবন পূর্ববিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের আলোর কোলে এই রাস উৎসব শুরু হয়। এই উৎসবে জাতীয় রাস মেলা কমিটির সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সুন্দরবন মায়ের মত আর এই সুন্দর বনকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। সরকারি প্রসাশনের অক্লান্ত পরিশ্রমে সুন্দরবন বনদস্যু মুক্ত হওয়ায় জেলেরা শান্তিতে মাছ/কাকড়া ধরতে পারছে। এক সময় এখানে আলো ছিল না বর্তমানে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং আগামীতে আরো উন্নত করা হবে। এক সময় গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ তেমন ছিল না এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে। পরবর্তিতে এখানেও বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বন সংরক্ষক কর্মকর্তা আমির হোসেন চৌধুরী, নৌ-মন্ত্রলারয়ের যুগ্ন সচিব পঙ্কজ কুমার পাল, মোগলা বন্দরের চেয়ারম্যান কমডোর ফারুখ হোসেন, র্যাপিড একশান ব্যাটেলিয়ান (র্যাব-০৬) এর ডয়িং কমান্ডার এর অধিনায়ক রাজীব, বাগের হাট জেলা পুলিশ এর প্রতিনিধি সিনিয়র এ এস পি মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক এর প্রতিনিধি মোঃ সিহানুর রহমান, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবলু সরদার, দৈনিক দৃষ্টিপাত সাংবাদিক এস এম জাকির হোসেন, সাংবাদিক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস পাল সহ সাংবাদিকবৃন্দ, অতিথিবৃন্দ এবং দেশ বিদেশ থেকে আসা লক্ষ লক্ষ পুণার্থী ও দর্শনার্থী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, রাস মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদিপ বসু সন্তুক। তীর্থযাত্রীর রীতি অনুযায়ী শক্রবার সূর্য উদায়ে পুণ্য¯œান করেছে। এই দৃশ্য দেখার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে হতে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের সমবেত হয়েছে সুন্দরবন দুবলার চরের চারপাশে।
সূত্র:দৃষ্টিপাত নেট।