সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশ ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের চার্লি টেঙ্গু ওয়ান হারুণ উন রশিদের নেতৃত্বে দিনব্যাপী সড়কে অবৈধ যানবাহনর হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণ করা হচ্ছে। সাথে সাথে যে সব ট্রাকে এলইডি বাল্ব লাগানো সেসব ট্রাকের হেড লাইটের উপর কালো রং টেনে দেওয়া হচ্ছে।গতকাল বুধবার সকাল থেকে শহরের বিনেরপোতা মোড়ে টিআই হাসান মল্লিকের নেতৃত্বে সাজেন্ট শরীফুল ইসলাম, সার্জেন্ট অনিমেষ রায় ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে কয়েক শ হাইড্রলিক হর্ণ অপসারণ করেন এবং কমপক্ষে ২০ টি ট্রাকের হেড লাইটের উপরের অংশে নিয়মমাপিক কালো রঙ টেনে দেন।
অপর দিকে একই দিন দুপুর থেকে বাইপাস মেডিকেলের সামনে টিএসআই জাহাঙ্গীর,এটিএসআই শিশির ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে হাইড্রলিক হর্ণ অপসারণ করেন এবং রাস্তায় চলাচল রত প্রত্যেকটি ট্রাকের হেড লাইটের উপরের অংশে কালো রঙের টেনে দেন। এই দিন বিকালে লাবসায় টিএসআই সুশীল ও সঙ্গীয় ফোর্স এবং মেডিকেলের সামনে সার্জেন্ট শুভ্র, সার্জেন্ট মুকুল ও সঙ্গীয় ফোর্স লাবসা পলিটেকনিক মোড়ে এভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। এতে করে শব্দ দূষণ হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন সাতক্ষীরার পরিবেশবীদ রা।অভিযানে ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট, রেজিষ্ট্রেশন ইত্যাদি না থাকলে সড়ক পরিবহনের নতুন আইনে মামলা রুজু করছেন সার্জেন্ট গণ।
গফ্ফার নামের এক মটর সাইকেল চালক বলেন আমার ডিএল নেই গাড়ির কোন কাগজই নেই, গাড়ি লক্কর - ঝক্কর গাড়ির কিস্তির র টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারি নি অথচ নতুন আইনের মামলায় আমার জরিমানা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। তিনি বলেন আমার মটরসাইকেলের বর্তমান দাম আছে ২০-২২ হাজার টাকা। আমি ৬০ হাজার টাকা জরিমানা কোথা থেকে দেবো তাই গাড়ি রেখে চলে এসেছি।
এদিকে সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের এই মহতি উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সুশীল সমাজ। তারা বলছে পুলিশ সুপারের এমন মহতি উদ্যোগ সড়কে দূর্ঘটনা ও মৃত্যুর মিছিল অনেকটা কমিয়ে আনবে।