নানা সংগ্রাম ও গৌরবময় কণ্টকাকীর্ণ ১০১ বছর পার করে ১০২তম বর্ষে পদার্পণ করল দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে “গবেষণা ও উদ্ভাবন: ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া সহযোগিতা” কে সামনে রেখে ১০১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি ১০২ তম বছরে পদার্পণকে স্মরণ করে ১০২ পাউন্ডের কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়েছে। কেক কাটার মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হলের পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা শতবর্ষের থিম সং ও ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গান পরিবেশন করে। এর আগে হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রা সহকারে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে সমবেত হন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথে সংশ্লিষ্ট নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, এ কে ফজলুল হকসহ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এ সময় উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, এবারের প্রতিপাদ্য–‘গবেষণা ও উদ্ভাবন: ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’। এর মধ্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা তার দ্বিতীয় শতকের জন্য উপযুক্তভাবে গড়ে তুলব। ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মোতাবেক জাতির উন্নয়নের সহায়ক, এমন ধরণের উদ্ভাবন এবং গবেষণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত হবে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় উন্নয়নে খ্যাতিমান এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ঐতিহাসিকভাবে যে অবদান রেখে আসছে সেই ধারাবাহকিতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। সেই সঙ্গে এবছরের অক্টোবরে ২২ ও ২৩ তারিখে গবেষণা মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, প্রাক্তন শিক্ষার্থী সিআইডির ডিআইজি মো:হাবিবুর রহমান বিপিএম সহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সেখান থেকে মাননীয় উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়। র্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন: ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।