♣♣♣♣
ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে জেলায় ১০দিনের অভিযানে ৩৬৯৭টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে মটরসাইকেল রয়েছে ৩১৬১টি। এ সময় আটক করা হয়েছে ১২৭টি যানবাহন। যার মধ্যে ৯৫টিই মটরসসাইকেল। প্রশ্ন উঠেছে ট্রাফিক সপ্তাহ কি শুধু মটরসাইকেলের বিরুদ্ধে? রীতিমত সামান্য কারণে মটরসাইকেলের চালক ও আরোহীগণ সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হলেও ঘাতক অন্যন্য যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকগণ অভিযানের বাইরেই রয়ে গেছেন।
জেলা পুলিশের তথ্য মতে ১০দিনের অভিযানে মামলা হয়েছে ৩১৬১টি মটরসাইকেল, ১৩৮টি বাস, ২২২টি ট্রাক, ৪০টি প্রাইভেটকার, ১১২টি পিকআপ এবং অন্যান্য ৩৪টি যানবাহনের বিরুদ্ধে।
এ সময় আটক করা হয়েছে ৯৫টি মটরসাইকেল, ২টি বাস, ২টি ট্রাক, ১টি প্রাইভেটকার, ৩টি পিকআপ, ২৪টি মাহিদ্র, ইজিবাইক, ইঞ্জিনভ্যান, ট্রলি জাতীয় যানবাহন আটক করা হয়েছে। এসময় অবৈধভাবে যানবাহন চালানোর দায়ে জরিমানা করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৬৪ হাজার ২০০ টাকা।
এ বিষয়ে নাগরিক নেতা এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, নিরাপদ সড়ক সবার কাম্য। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে শুরু হয় ট্রাফিক সপ্তাহ। ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালে সাতক্ষীরায়ও বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ নিহত হয়েছেন, কেউ আহত হয়েছেন। ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালীন দেখা গেছে মটরসাইকেলের বিরুদ্ধে যেনো যুদ্ধং দেহি অবস্থা। জেলায় কয়েক হাজার মটরসাইকেল রয়েছে। রয়েছে ৮ শতাধিক অন্যান্য যানবাহন। এসব যানবাহনের অধিকাংশেরই নেই ফিটনেস সনদ। অনেকেরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। হেলপার দিয়ে চালানো হয় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক। অনেক বাসের ইঞ্জিনের সাথে চেচিসের কোন মিল নেই। আগেকার দিনের মিনিবাসের ইঞ্জিন দিয়ে অনেক বাস রয়েছে সড়কে। ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালে এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যস্থা নেয়া হয়নি দাবি করে তিনি বলেন মটরসাইকেলের বিরুদ্ধেই যেনো অভিযানে নামে পুলিশ। তিনি সকল অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য দাবি জানান।
সূত্রঃপত্রদূত নেট।