♣♣♣♣
খুলনার খালিশপুরস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত মেঘনা তেল ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে খালিশপুর নতুন রাস্তায় বিএল কলেজসংলগ্ন ডিপোর অভ্যন্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে দ্ইুজন নিহত এবং ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের নয়টি অগ্নিনির্বাপক ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে প্রায় পৌনে ১ ঘন্টা চেষ্টার পর সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মেঘনা অয়েল কোম্পানি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে জ্বালানি তেলবাহী তিনটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। ডিপো থেকে গাড়িতে পেট্রোল ও অকটেন লোড দেওয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে কাশিপুর পদ্মা রোডের বাসিন্দা ট্যাংকলরিকর্মী মো. রাজু (২৫) ও মেঘনা অয়েলের মিটারম্যান মো. কামাল (৫০) নিহত হয়। দগ্ধ সাতজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে রয়েছে মোজাম্মেল হক (৩৫), আবদুল ওহাব (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৪০), আনোয়ার হোসেন অনু (২৫), ইসমাইল হোসেন (৫৫), রুবেল মীর (২৬) ও মো. সুজন (২৫)। আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ার কারণে শেষে তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অগ্নিকা-ে দগ্ধ ছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০-১৫ জন শ্রমিক। বার্ন ইউনিটের নার্স ইনচার্জ নওরিন সুলতানা বলেন, দগ্ধদের মধ্যে সুজন, রুবেল ও ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের শরীরের ৬০ শতাংশের কিছু বেশি পুড়ে গেছে। খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ অগ্নিকা-ের প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দগ্ধদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। তিনি আরও জানান, খালিশপুর, দৌলতপুর, টুটপাড়া, নৌ ফায়ার এবং পাজারো-১, ২ সহ ফায়ার সার্ভিসের নয়টি অগ্নিনির্বাপক ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে প্রায় পৌনে ১ ঘন্টা চেষ্টার পর সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস খুলনার উপ-পরিচালক আবুল হোসেন, এডি মোশারফ হোসেন ও ডিএডি ইকবাল বাহার বুলবুল তাদের এ কাজের নেতৃত্বে ছিলেন। খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, অগ্নিকা-ের ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছেন। অগ্নিকা-ের সম্ভাব্য বেশ কিছু কারণ অনুমান করা যাচ্ছে। তদন্ত চলছে। এরপর সঠিক কারণ জানা যাবে। ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এনাম মুন্সি জানান, ডিপো থেকে ডিজেল ও অকটেন গাড়িতে লোড দেওয়ার সময় হঠাৎ করেই বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকা- ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে যায়। এদিকে মেঘনা অয়েল ডিপোতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানসমূহ সরেজমিন পরিদর্শন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নর্বনির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল হোসেন। এসময় খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশার, কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লি:-দৌলতপুর ডিপো’র ম্যানেজার (অপারেশন) সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃদৈনিক নওপাড়া।