♣♣♣♣
নেতৃত্ব চাই যক্ষ্মা নির্মূলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে নাটাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হান্নান মোল্যার সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ তৌহিদুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, ডেপুটি কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, নাটাবের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি তরুণ কুমার বিশ্বাস,ব্র্যাকের জেলা ম্যানেজার মোঃ শরিফুল ইসলাম, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি মোঃ রেজাউল করিম খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, দৈনিক কাফেলার স্টাফ রিপোর্টার শেখ কামরুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় সাতক্ষীরা জেলার ৩০জন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, রাতে জ্বর আসা, বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট এমন লক্ষণ দেখা দিলে ফুসফুসে যক্ষ্মা হওয়ার লক্ষণ। যক্ষ্মারোগের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যক্ষ্মা একটি জীবাণু ঘটিত সংক্রামক রোগ। একনাগাড়ে দুইসপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে কফ পরীক্ষায় রোগ সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময়ে রুমাল ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশের সকল জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বক্ষ-ব্যাধি ক্লিনিক, বক্ষ-ব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা ও যক্ষ্মা চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ সরকার যক্ষ্মারোগীর জন্য সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসার সমস্ত ঔষধ বিনামূল্যে বহন করে।