♣♣♣♣
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী অধিবেশনই হবে এই সংসদের শেষ অধিবেশন। এ অধিবেশনেই পাস হবে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’।
মঙ্গলবার বিকেলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবহন বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনটি পাস হওয়ার আগে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে যাবে। তখন আপনারা (সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ) চাইলে পরামর্শ দিতে পারবেন। সংশোধন করা যাবে।
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইনটি কেবিনেটে নীতিগত অনুমোদনের পর চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে এক বছরের বেশি সময় পড়ে ছিল। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনকে আমি স্যালুট জানাই। তাদের কারণে আজ আইনটি আলোর মুখ দেখেছে। বৈঠকে কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও নিরাপদ সঙক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন আইনটির বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরেন। এ সময় তারা এসব বিষয় সংশোধনের দাবি জানান। জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদে উপস্থাপনের পর আইনটি চলে যাবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান আপনাদের ডাকবেন, পরামর্শ শুনবেন। এখনই এটি একেবারে ফাইনাল নয়। কিছু কিছু জায়গায় সংযোজন, সংশোধনের সুযোগ আছে। আপনারা সেখানে পরামর্শ দিতে পারবেন। তারপর সেটি সংসদে যাবে। সেখানে জাতীয় পার্টি আছে, অন্য দলও আছে। সংসদে এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরাও চাচ্ছি, দেশের মানুষের কাছে আইনটি যাতে গ্রহণযোগ্য হয়। যদি তা না হয়, তাহলে তো আইন সুফল দেবে না। সেই সুযোগ সামনে আছে।
তিনি বলেন, আমরা এই অধিবেশনে আইনটি পাস করার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটা এই সরকারের শেষ অধিবেশন। আশা করছি, এই অধিবেশনেই আইনটি পাস হবে। আমি অপটিমিস্টিক (আশাবাদী)। ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদের ২২তম অধিবেশনই হবে দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন। এরপর সংসদের আর কোনো অধিবেশন বসবে না। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই সংসদ ভাঙবে না। এমপিদেরও কোনো কার্যকরিতা থাকবে না। বৈঠকে সড়ক পরিবহনের নিরাপত্তা, অসঙ্গতিসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, স্থপতি মোবাশ্বের হাসান, ড. মো. মিজানুর রহমান, বাস ওনার্স মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক তালুকদার সোহেল, শ্রমিক নেতা, হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা, বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।