প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর শ্যামা প্রসাদ,সাব-ইন্সপেক্টর অনুপ কুমার এবং সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর কুদ্দুস।
গত ১১ ই সেপ্টম্বর ২০১৮ তারিখ যশোর থেকে প্রকাশিত একটি অন-লাইন পত্রিকা সমাজের কথা নামক পত্রিকায় শিরোনাম দিয়ে নিউজ ছাপানো হয়....
"গ্রাম পুলিশের অনৈতিক প্রস্তাব সাড়া না দেয়ায় গৃহবধূর ভ্যানচালক স্বামীকে ইয়াবা দিয়ে চালান" শীর্ষক সংবাদ টি।উক্ত সংবাদ টি সাতক্ষীরা থানায় কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর শ্যামা প্রসাদ,সাব-ইন্সপেক্টর অনুপ কুমার দাস ও এএসআই কুদ্দুসের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
তারা নিউজটি রুপকথার মত ভিত্তিহীন,বানোয়াট,মিথ্যা ও উদ্যেশ্য প্রনোদিত আক্ষায়িত করে সাতক্ষীরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর শ্যামা প্রসাদ ও সাব-ইন্সপেক্টর অনুপ কুমার দাস আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম কে জানান,সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের ভ্যান চালক মহসিন আলী প্রকৃত পক্ষে একজন মাদক ব্যবসায়ী।ভ্যান চালানো টা তার আসল পেশা নয়।সে ভ্যান চালানোর আড়ালে মাদক বিক্রি করে এমন খবর আসে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের কাছে।পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক আমি(শ্যামা প্রসাধ)ও এএসআই কুদ্দুস মহসিনের বাড়িতে গিয়ে তল্লাসী করি।
অভিযান চলাকালে ভ্যানচালক মহসিন আলী কে তল্লাসী করে ২০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।আলামত পেয়েই মহাসিন কে হ্যান্ডক্যাপ পরানো হয়।এসময় মসহিনের স্ত্রী রোকসোনা বেগম স্বামীকে ছাড়ানোর জন্য খুব অনুরোধ জানান পুলিশের হাত-পা ধরে।এমন কি ঘুষ ও দিতে চান পুলিশ কে।কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রী পরোক্ষ ভাবে স্বামীকে মাদক বিক্রিতে সহযোগীতা করেন বলে এলাকায় জনস্রুতি রয়েছে।
এক পর্যায়ে কোন ভাবে পুলিশ কে ম্যানেজ করতে না পেরে ও স্বামী কে ছাড়াতে না পেরে, ভ্যানওয়ালার স্ত্রী রোকসানা সাব-ইন্সপেক্টর শ্যামা প্রসাধ ও এএসআই কুদ্দুস কে ভয় দেখিয়ে বলেন, যে আপনারা আমার স্বামী কে না ছেড়ে দিলে আমি আপনাদের নামে এসপি সাহেবের কাছে ও সাংবাদিক দের কাছে অভিযোগ দেবো যে আপনারা আমার সাথে অশ্লীলতা করতে চেয়েছেন।
পরে অবস্থার বেগতিক দেখে সাব-ইন্সপেক্টর শ্যামা মোবাইল ফোন করে ঐ এলাকায় মামলার তদন্ত কাজে অবস্থানরত সাব-ইন্সপেক্টর অনুপকুমার দাস কে ডেকে আনেন আসামী কে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।পরে সাব-ইন্সপেক্টর শ্যাম প্রসাধ,সাব-ইন্সপেক্টর অনুপকুমার দাস ও এএসআই কুদ্দুস তিন জন মিলে সেখান থেকে সাতক্ষীরা থানা হাজতে আনেন।পরে মাদক দ্রব্য আইনে মহসিন আলীর নামে মামলা রুজু পুর্বক তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
টাকা লেনদের বিষয় টি সম্পূর্ন মিথ্যা বলে দারোগা অনুপকুমার প্রতিবেদক কে বলেন,সরকার আমাদের বেতন দ্বিগুন করে দেছেন।আমাদের এতো অভাব হয়নি যে আমরা ভ্যানচালক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেবো।সাব-ইন্সপেক্টর শ্যামা প্রসাদ আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম কে আরো জানান,প্রকাশিত নিউজ টি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘটনা।
অথচ সাতক্ষীরার লোকাল কোন পত্রিকা যেমন-- দৈনিক পত্রদূত,দৈনিক কালের চিত্র,দৈনিক দৃষ্টিপাত,দৈনিক সুপ্রভাত,ভয়েস অফ সাতক্ষীরা,দৈনিক সাতক্ষীরা,ডেইলি সাতক্ষীরা এসমস্ত গুরুত্ব পুর্ন পত্রিকায় ১১ তারিখে নিউজ টি পাবলিশ হলোনা কেন? বিষয় টি মিথ্যা ও বানোয়াট ।সেজন্য সাতক্ষীরার লোকাল কোন পত্রিকায় পাবলিশ হয়নি।যার কারনে যশোরের একটি পত্রিকা থেকে নিউজ টি সাংবাদিক কে ভুল বুঝিয়ে, ভূল তথ্য দিয়ে করানো হয়েছে।তিনি আরো বলেন,আমরা কলম সৈনিক দের কে অত্যান্ত শ্রদ্ধা ও ভক্তি করি।পুলিশ আর সাংবাদিক মুদ্রার এপিট-ওপিট।আমরা আশাকরি পুলিশের সকল অর্জন গুলো কলম সৈনিকগণ দেশ ও গনগনের সামনে তুলে ধরবেন।
সবশেষ এএসআই কুদ্দুস আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম কে বলেন,আমি এবার জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় আইন-শৃংখলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকশ এএসআই হিসাবে সন্মাননা পেয়েছি।যেটা আমার চাকুরী জীবনের সব চাইতে বড় পাওয়া।তিনি আরো বলেন,আমি আমার এতো বড় একটি অর্জন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে মোটেও নস্ট করতে পারি না।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আপডেট সাতক্ষীরার প্রতিবেদক কে জানান,আমার অনুমতি ছাড়া আমার থানার কোন অফিসার বাহিরে কোন অপারেশনে যান না।আমার অনুমতি নিয়েই আমার অফিসার বৃন্দ গিয়েছিল ঝাউডাঙ্গার মাদক ব্যবসায়ী মহাসিন কে গ্রেপ্তার করতে। আসামীর কাছে ২০ পিস ইয়াবা পাওয়াতে আইন অনুযায়ী তাকে থানায় এনে বিধি মোতাবেক কোর্টে চালান করা হয়েছে।এছাড়া আর কোন অপ্রত্যাষিত ঘটনা ঘটেনি।