সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):এটি কোন নাটক নয়,
এটি কোন সিনেমার গল্পোও নয়,এটি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একটি প্রশংসিত কাজ।
ছবিতে দেখা যায় পুলিশের ড্রেস পড়া দুই জন পুলিশ অফিসার বাঁশের লাঠি দিয়ে রাস্তার উপর থেকে একটা মরা-পঁচা কুকুর কে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলছেন।যেটা করা উচিৎ ছিলো সংশ্লিষ্ট এলাকার পৌরসভার স্টাফদের।কিন্তু কুকুরটি বাসের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে ৩-৪ দিন রাস্তার উপরে পড়ে ছিলো।এলাকার স্থানীয় লোকজন,স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তার উপরে মরা ও পঁচে গন্ধ হওয়া কুকুরটির পাসদিয়ে যাওয়ার সময় পঁচা গন্ধে যেন সবার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো।অথচ কোন স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তি এসে মরা-পঁচা কুকুরটিকে রাস্তা থেকে সরানোর উদ্যোগ নেন নি।
বেলা ঠিক ১.১৫ মিনিট, রোজ সোমবার কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে সরকারী পুলিশ পিকআপ চড়ে সরকারী কাজে যাচ্ছিলেন কুষ্টিয়ার ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব রতন শেখ। হঠাৎ তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রোডে পৌছানো মাত্রই গাড়ির গ্লাস নামাতেই প্রচন্ড দুঃগন্ধে প্রায় বমি করে ফেল্লেন ওসি রতন শেখ।এসময় ড্রাইভার কে গাড়ি থামাতে বললেন তিনি।গাড়ি থেকে নেমে দেখলেন,রাস্তার উপরে একটি কুকুর মরে পঁচে পড়ে আছে।কুকুরটির নাড়িভুড়ি বের হয়ে গেছে বাস/ট্রাকে চাপা দেওয়ার কারনে।এমনকি কুকুরটির শরীরে পঁচন ধরে মাছি ভনভন করেছে।রাস্তার পথচারীরা সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় কেউ মুখে রুমাল,মহিলারা মুখে কাপড় দিয়ে নাক বন্ধ করে যাচ্ছে।জনভোগান্তি দেখে কুষ্টিয়া থানার ওসি রতন শেখের হৃদয়ে নাড়া দিলো।তিনি তার সাব-ইন্সপেক্টর ও কন্সস্টেবল দের কে বল্লেন পাস থেকে আমাকে ২ টো বাঁশের লাঠি এনে দেও।তারা লাঠি এনে দেওয়ায় ওসি রতন শেখ নিজেই লাঠি হাতে নিয়ে মরা-পঁচা কুকুরটি তার সাব-ইন্সপেক্টর কে সাথে নিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলেন।এসময় রাস্তার পথচারীরা ওসি রতন শেখের মহৎ কর্মকান্ড থেকে মুগ্ধ হন আর মনে মনে বলতে থাকেন,পুলিশ যে জনগনের বন্ধু,,,, তার প্রমান দিলেন ইবি থানা পুলিশ।এসময় এক পথচারী রাস্তার উপর থেকে ওসির কুকুর সরানোর দৃশ্যটি সম্পুর্ন ভিডিও করে সোস্যাল মিডিয়াতে ভিডিও টি পোষ্ট করেন।ভিডিওটি কয়েক ঘন্টার মধ্যে সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে ওঠে।ভিডিওটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্ট আসে... স্যালুট বাংলাদেশ পুলিশ বলে।