সাতক্ষীরায় পিএন হাইস্কুলের দীর্ঘদিনের স্কুল জীবনের বাল্য বন্ধুদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা পিএন হাইস্কুলে আগমন উপলক্ষে ১৯৬৮ সালের সাথীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আগত বহু আগের বাল্য বন্ধু বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের মাননীয় বিচারপতি এইচ এম মো. নূরুল হুদা জায়গীরদার এর ফোন পেয়ে পিএন স্কুলে হাজির হয়ে যান স্কুল জীবনের বাল্য বন্ধু সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এসময় শুরু হয় বিচারপতি ও এমপি সহ আগত বন্ধুদের মধ্যে স্কুল জীবনের আলোচনা ও সেই স্মৃতির মোহে হারিয়ে যান বাল্য জীবনে। আবেগে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন । এসময় সবাই ভুলে যান কে বিচারপতি এবং কে এমপি। সবাই সেই বাল্য কালের বন্ধু।
এসময় বাল্য বন্ধুদের মধ্যে অবসর প্রাপ্ত সচিব ফজলুর রহমান, সাংবাদিক আবু সালেক, সাবেক উপ সচিব আব্দুল হামিদ, সাবেক পোষ্ট মাস্টার সাধন দত্ত, বিটিসিএল’র সাবেক উপ সহকারি প্রকৌশলী শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু সহ সাতক্ষীরা পিএন হাইস্কুলের ১৯৬৮ সালের সাথী বাল্য বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান শেষে ১৯৬৮ ব্যাচের বন্ধুদের পুনর্মিলনীতে ১৫ সদস্যের অবসর প্রাপ্ত সরকারী উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সম্মানিত সদস্য বৃন্দ হচ্ছে...
১।বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি(মাননীয় সংসদ সদস্য-০২ সাতক্ষীরা)।
২। এইস এম নূরুল হুদা জায়গিরদার(মহামান্য বিচার পতি,সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ)।
৩। ফজলুর রহমান(অবসর প্রাপ্ত যুগ্ম প্রধান,আবু নাসের হসপিটাল,খুলনা)।
৪। মোঃ ফরিদআল গালিব(সৌদি প্রবাসী)
৫।শেখ জামশেদ উদ্দীন(অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা)
৬।চণ্ডিদাস কর্মকার(অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক)
৭।মোঃ আমিন উদ্দীন(অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক)
৮।শেখ শাহাদুজ্জামান( অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা)
৯।শেখ আশরাফ আলী(অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা)
১০।মোঃ তমিজ উদ্দীন(অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক)
১১।দীলিপ দাস(অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক)
১২।মোঃ নজিবুল্লাহ(অবসর প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার)
১৩।মোঃমহিদুল হক(অবসর প্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার)
১৪।মোঃ আজাদুল ইসলাম (অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক)
১৫।জনাব সালেক (বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কলামি)।
অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ও হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি তার ব্যক্তব্যে বলেন সাতক্ষীরা প্রান নাথ হাইস্কুল একটি ঐতিয্যবাহী স্কুল।এখান থেকে শতশত ছাত্র মানুষের মত মানুষ হয়ে বাংলাদেশ সরকারের খুব গুরুত্ব পদে চাকুরী করছেন।তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমাদের সময় পিএন স্কুলের ছাত্রদের রেজাল্ট অনেক ভালো ছিলো।কিন্তু বর্তমানে ছাত্রদের রেজাল্ট সন্তোষজনক নয় কেনো তা জানতে চেয়ে ক্লাস নাইনে পড়া এক ছাত্রকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি মহোদয়।প্রশ্নোত্তরে ঐ ৯ম শ্রেনীর ছাত্র বিচারপতি মহোদয় কে বলেন আমাদের শিক্ষক কম। যার কারনে আমাদের রেজাল্ট ভালো হচ্ছেনা।পরে বিচারপতি মহোদয় স্কুলের শিক্ষকদের উদ্যেশ্যে বলেন ,আমার হাতপা বাধা।আমি ইচ্ছে করলেই সব কাজ করতে পারিনা।তবে স্কুলের উন্নয়নের জন্য আমি সকল কাজ করে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো।আপনারা আমার মোবাইল নাম্বার নেন।আপনারা যে কোন প্রয়োজনে আমাকে ফোন করবেন।তিনি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক জনাব এসএম মোস্তফা কামাল কে প্রশংসা করে বলেন,সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক কে আমি পিএন হাইস্কুলের উন্নয়ন করা প্রসংগে বলেছি,তিনি একজন ইয়াং ও কর্মপ্রেমী অফিসার। তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন স্কুলের উন্নয়নের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, স্কুল কমিটি জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিলে আমি প্রকল্প পাস করে আনবো।সিনিয়র বিচারপতি আরো বলেন,আর কতদিন বা বাঁচবো? আমি যতদুর সম্ভব স্কুলের উন্নয়ন কল্পে কিছু করতে চাই।আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন,আমার চাকুরীর শেষ দিন পর্যন্ত আমি যেন ঈমানের সহিত সরকারী দায়িত্ব পালন করতে পারি।এসময় মহামান্য বিচারপতি মহোদয়ের সার্বিক নিরাপর্ত্তা ও পটোকল প্রদান করেন সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্সেস।