গাজীপুরের টঙ্গীতে জোড় ইজতেমা আয়োজনকে কেন্দ্র করে তাবলিগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইসমাইল মণ্ডল (৬৫) নামে এক মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত তিন শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টঙ্গী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহত ইসমাইল মণ্ডল মুন্সীগঞ্জের মিলিয়াপাড়া গ্রামের খলিল মণ্ডলের ছেলে ও মাওলানা সাদ গ্রুপের অনুসারী।
টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মাথা ও শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তিনি ইজতেমা ময়দানেই প্রতিপক্ষের হামলায় মারা গেছেন।
ইজতেমা সূত্র এবং স্থানীয়রা জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ- এই দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে মুসল্লিরা। জোড় ইজতেমা উপলক্ষে মাওলানা জুবায়ের পক্ষের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল।
শনিবার সকাল থেকেই সাদপক্ষের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসতে শুরু করে এবং ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাদপক্ষের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের চারপাশ এবং সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পশ্চিম লেনে অবস্থান নেয়। এতে ওই লেনে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে সাদপক্ষের মুসল্লিরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জুবায়ের পক্ষের মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়।এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব ওয়াই এম বেলালুর রহমান,গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির,পুলিশ সুপার জনাব সামসুন্নাহার পিপিএম বার ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।
সূত্র: জাগো নিউজ ২৪ ডটকম।