ফিরোজ হোসেন : ঐতিয্যবহী সাতক্ষীরা তুফান কোম্পানির এক অঙ্গসংগঠন তুফান ডেন্টাল ক্লিনিক যার জন্ম ১৯৩৫ সালে। ভারতের বসিরহাট স্থান থেকে অগ্রযাত্রার মধ্যদিয়ে দেশ ভাগ হওয়ার পর তুফান কোম্পানি নামে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান এর পরিচালক মৃতঃ ডাঃ শেখ মোসলেম দেশত্ববোধ দেখিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। বাংলাদেশে এসে তিনি সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের বিনামূল্যে দাঁতের চিকিৎসা সেবা শুরু করেন গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে ভ্রাম্যমান হিসাবে। যখন মানুষ ডাঃ শেখ মোসলেম এর চিকিৎসায় বিভিন্ন দাতের ব্যাধি পরিত্রান পেতে শুরু করলেন তখন সাতক্ষীরার মানুষের কাছে খুব প্রিয় মুখ হয়ে উঠলেন। তখন তিনি সাতক্ষীরা তুফান ডেন্টাল ক্লিনিক হিসাবে একটি ক্লিনিক চালু করেন।সাতক্ষীরা বাসী দাতের সুচিকিৎসার কথা চিন্তাকরে যার বর্তমান নাম তুফান কোম্পানি নামে সাতক্ষীরার মানুষের কাছে একনামে পরিচিত। শুধু তাই নয় সেই পরিচয়ে স্থানটির নাম হয় তুফান কোম্পানির মোড়, যাহা সর্বসাধারনে এক নামে চেনে স্নানটি। ডাঃ শেখ মোসলেম সাতক্ষীরাতে ১৯৫০ সালে হাটি হাটি পা পা করে গড়ে তোলেন এই প্রতিষ্ঠানটি, দেশসেবা সহ শ্রমিক কল্যানে রয়েছে বড় অবদান। ডাঃ শেখ মোসলেম ১৯৯০ সালে মৃত্যু বরণ করেন, মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন তারই যোগ্য পুত্র ডাঃ আবুল কালাম বাবলা। বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্ব পালন করলেও ডাঃ বাবলা চেম্বারে নিয়োমিত রুগী দেখেন। বহুল প্রচার তুফান ডেন্টাল ক্লিনিক প্রতিদিন সকাল ৯ টা হইতে রাত্র ৯ টা পর্যন্ত রুগী দেখা হয়। অত্র ক্লিনিকে দন্ত বিষয়ক বিডি এস সনদ প্রাপ্ত ৪ জন ডাক্তার সহ অভিজ্ঞ ৩ জন ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত এবং ডাঃ আবুল কালাম বাবলার কন্যা সামিমা সুলতানা তন্বী বিডি এস সহ দন্ত বিষয়, জাপান থেকে পি এইচ ডি ডিগ্রী লাভ করেন। ডাঃ আবুল কালাম বাবলা দাতের ডাঃ হিসাবে এতটাই যশ খ্যাতির পরিচিতি লাভ করেছেন, যে তার হাতের পরশে রুগী আল্লাহর রহমতে সুস্থতা বোধ করেন। শুধু তাই নয় সাতক্ষীরার মানুষের দাতের চিকিৎসা সহ যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, কুষ্টিয়া, সিলেটসহ ঢাকা থেকেও বহু রুগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসে।ডাঃ আবুল কালাম বাবলা সাতক্ষীরার মানুষের কাছে গরিবের বন্ধু ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক হিসাবে গন-মানুষের কাছে খুবই পরিচিত। অত্র দন্ত ক্লিনিকে প্রতিবন্ধি সহ ২৮ জন কর্মচারি চাকুরি করেন,। এখানে শেষ নয়, বাগেরহাট ও মাগুরা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রুপি বেগম ও মাসুরা খাতুন বলেন এখানে চিকিৎসা নিতে এসে আমরা ধন্য, ডাঃ বাবলার চিকিৎসায় সুস্থ্য’ আছি এবং প্রতিনিয়ত শত শত গরিব রুগী বিনামূল্যে চিকিৎসা পায় যাহা অন্য কোথাও আছে বলে আমার জানা নাই। ডাঃ বাবলার আরো একাধিক ব্যবসা আছে, চিংড়ি চাষ প্রজেক্ট, চিংড়ি হ্যাচারী, মৎস্য ঘের, তুফান কনভেনসন সেন্টার, তুফান রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ওখানেই ২৫০ জন কর্মচারী চাকুরী করেন। উক্ত বিষয়ে এ প্রতিবেদককে ডাঃ আবুল কালাম বাবলা বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে বহু মানুষের কর্মসংস্থানে সুযোগ হয়েছে। আগামিতে আরো কাজের সুযোগ হবে, এজন্য আমি সকলের কাছে দোয়া কামনা করি এবং এধরনের কাজ করতে সকল সহযোগিতা আমার একান্ত প্রয়োজন।