আজ ৬ ই ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ, রোজ বুধবার।ঠিক আজ থেকে ১ বৎসর আগে অথাৎ ২০১৭ সালের ৬ ই ডিসেম্বর সাতক্ষীরায় যোগদান করেছিলেন সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মো: সাজ্জাদুর রহমান। তিনি সাতক্ষীরায় যোগদানের পর থেকে সাতক্ষীরার সাধারন মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন জাগতে লাগলো।প্রশ্ন গুলো ছিলো এমন....
নতুন এসপি স্যার কেমন লোক?
এসপি স্যার খুব রাগী অফিসার নাকি ঠান্ডা প্রকৃতির?ঘুষ কি বেশি মাত্রায় খায়? নাকি সহনীয় মাত্রায় খায়?
শুনেছি এর আগে এসপি স্যার নারায়নগজ্ঞের সেভেন মাডারের ক্লু উৎঘাটন করে আসামিদের আইনের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছিলেন।ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে সাতক্ষীরার মানুষদের মধ্যে বেশ গুঞ্জন চলছিল।কিন্তু যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই সাতক্ষীরার মানুষ পুলিশ সুপার মো:সাজ্জাদুর রহমান সম্পর্কে বেশ ভালো ধারনা অর্জন করলো।সবাই বুঝতে পারলেন যে তিনি সমাজের ভালো মানুষ দের জন্য বন্ধু স্বরূপ আর যারা সমাজে অপরাধ করে তাদের জন্য তিনি আতংঙ্ক।মানুষের সকল ভ্রান্ত ধারনা গুলো পাল্টাতে লাগলো আস্তে আস্তে।
যে কারনে এসপি সাজ্জাদুর রহমান জেলার সকল স্থরের মানুষের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়েছেন তার কিছু তথ্য নিন্মে প্রদান করা হলো:
আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহর জুড়ে সিটি টিভি ক্যামেরা স্থাপন:--
সাতক্ষীরা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যোগদানের ৩-৪ মাসের মধ্যে সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় ১৩৩টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান।যার ফলে শহর এখন পুরো পুলিশের নজরে।শহরে কোন রকম অপরাধ করে পার পাওয়া যাবেনা বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সাজ্জাদুর রহমান।শহরের প্রধান প্রধান সড়কের তিন রাস্তার তিন পাসে ক্যারেন্টের খুটির মাথায়,শহরের চৌরাস্তার চার পাসে চার দিক মুখ করে ক্যারেন্টের খুটির মাথায় ক্যামেরা গুলো বিশেষ সিস্টেমে স্থাপন করা হয়েছে।যার ফলে সরকারী গালর্স স্কুল বা সরকারী কলেজ এবং নবারন স্কুলের সামনে বখাটে দাড়িয়ে আর ছাত্রীদেরকে আর উত্যক্ত করতে পারেনা।এক কথায় পুরো শহর এখন পুলিশের নজরে।জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআই-১ জনাব আজম খান আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম কে জানান,সিসি টিভি ক্যামেরা গুলোর কন্ট্রোল রুম পুলিশ সুপার মহোদয়ের কক্ষের পাসে।তিনি জানান,প্রতিদিন শহরে কি ঘটছে না ঘটছে তা পর্যালোচনা করতে অফিস থেকে বাঙলোতে যাওয়ার আগে রাতে একবার করে পুলিশ সুপার মহোদয় সিটি টিভি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুমে যান এবং সারা দিন কি ঘটেছে তার রিভিও প্লে করে মনিটরিং করেন পুলিশ সুপার মহোদয়।
মানবতার ফেরিওয়ালা এসপি সাজ্জাদুর রহমান:
সাতক্ষীরায় বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির পাসে দাড়িয়েছিলেন এসপি সাজ্জাদুর রহমান।পেপার পত্রিকায় বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির নিউজ দেখে মুক্তামনির বাড়িতে যান পুলিশ সুপার।এসময় মুক্তামনির পিতা-মামাকে আর্থিক সহযোগীতা করেন পুলিশ সুপার।দূর্ভাগ্য মুক্তামনি কে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।তারপরেও মুক্তামনির মৃত্যুর খবর পেয়ে মুক্তামনির বাড়িতে ছুটে যান এসপি সাজ্জাদুর রহমান।এসময় মুক্তামনির দাফন কাফনে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান মহোদয় মরহুমের পরিবার কে নগত অর্থ প্রদান করেছিলেন।শুধু তাই নয় মুক্তামনির জানাযার নামাজে অংশ গ্রহন করেছিলেন এসপি সাজ্জাদুর রহমান।
মানবিক পুলিশ অফিসার ফেইজবুকের জানতে পারলেন আনোয়ারা নামক জনৈক এক অসহায় মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।কিন্তু দারিদ্রতার কারনে ঠিকমত ঔষধ কিনতে পারছেন না এবং টাকার অভাবে অসহায় আনোয়ারার অপারেশন করছেন না ডাক্তাররা।বিষয়টি জাগো নিউজ ও দৈনিক সাতনদীর রিপোর্টার আকরামুল ইসলাম অসহায় আনোয়ারার সাহায্যের আবেদন করে সোশাল মিডিয়ায় একটি সাহায্যের আবেদন করেছেন।সাহায্যের আবেদন দেখে পুলিশ সুপার ইং ১৫-০৭-২০১৮ তারিখে ছুটে যান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে।সেখানে গিয়ে তিনি অসহায় আনোয়ারার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং নিজ খরচে তিনি ২৪-০৭-২০১৮ তারিখে অসহায় আনোয়ারার অপারেশ সম্পন্ন করান সদর হাসপাতালের সার্জারী ডাক্তার দিয়ে।পরের দিন ২৫-০৭-২০১৮ তারিখে পুলিশ সুপার অসহায় আনোয়ারার জন্য বিভিন্ন প্রকার ফল পাকোড় নিয়ে সদর হাসপাতালে তাকে দেখতে যান।এসময় অসহায় আনোয়ারা পুলিশ সুপার মহোদয়ের মহাত্বতা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন আল্লাহ পাঁক আপনার মত মহৎ মনের পুলিশ অফিসার দের দীর্ঘায়ু দান করুন ও সুস্থ্য রাখুন।
শুধু আনোয়ারা বেগমের চিকিৎসায় শেষ সেবা নয়।আনোয়ারা বেগমকে সুস্থ্য করতে না করতে জাগো নিউজের আকরামুল তার ফেইজবুক আইডিতে রেহেনা পারভীন নামে এক মহিলার অসহায়ত্ব তুলে ধরেন এবং অসহায় রেহেনা খাতুনের পাসে দাড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবান দের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।বিষয়টি হঠাৎ চোখে পড়লো জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুুর রহমানের।খবর পেয়ে রেহেনা খাতুন কে ডাকান পুলিশ সুপার তার অফিসে।পরে অসহায় রেহেনার সমস্যা ও দু:খ কষ্ঠের কথা শুনে তাকে সাতক্ষীরা জজকোর্ট চত্বরে একটি চায়ের স্টল বানিয়ে দেন এসপি সাজ্জাদুর রহমান।এসময় চায়ের দোকানের গ্যাসের চুলা, কাস্টমার বসার বেঞ্চ সহ দোকানের মালামাল কিনে দেন পুলিশ সুপার।কয়েক সপ্তাহ পরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় অসহায় রেহেনা খাতুন ঐ চায়ের দোকান চালিয়ে স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করছেন।বিষয়টি নিয়ে জেলার প্রত্যেকটি সংবাদ পত্রে পুলিশ সুপারের মহত্বতা নিয়ে সুনামের সহিত সংবাদ করা হয়েছিল।
শুধু মুক্তামনি বা রেহেনার জীবন গল্পে সমাপ্ত না। কয়েকমাস আগে অথাৎ ২৯-১০-১৮ তারিখে বখাটের উৎপাতে শহরের কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী আসফিয়া খাতুন আত্মহত্যা করে।খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক জনাব এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মো:সাজ্জাদুর রহমান ছুটে যান আসপিয়াদের বাড়ি।ঘটনা শুনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উত্যক্ত কারী বখাটে কে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আটক করতে সক্ষম হয় এসআই মনির হোসেন।পরের দিন স্কুল ছাত্রী আসফিয়া খাতুনের দাফন-কাপনের জন্য এসপি সাজ্জাদুর রহমান আসফিয়া খাতুনের নির্বাক বাবা-মা কে ১০ হাজার টাকা নগতে প্রদান করেন।
মাদক-জঙ্গী ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে এসপি সাজ্জাদুর রহমানের গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ:
মাদক কে না বলি, বাল্য বিবাহ কে না বলি,বাল্য বিবাহ কে প্রতিরোধ করি উক্ত শ্লোগান সম্পর্কিত একটি ক্লাস রুটিন তৈরি করেন এসপি সাজ্জাদুর রহমান।অদ্য ১০ ই মার্চ ২০১৮ তারিখ তিনি সাতক্ষীরার বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী স্কুল কলেজে গিয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে ডান হাত উচু করে শফত বাক্য পড়ান যে মাদক কে না বলি,বাল্য বিবাহ কে না বলি,যে মুখে মা ডাকি সে মুখে মাদক কে ঘৃনা করি।এসময় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কে ক্লাস রুটিন প্রদান করেন এসপি সাজ্জাদুর রহমান।এছাড়াও প্রতিটি মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের কে জঙ্গী-মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী কাউন্সিলিং করান পুলিশ সুপার।তার আসল স্বপ্ন ছিলো সাতক্ষীরা কে মাদক-জঙ্গি ও সন্ত্রাস মুক্ত সাতক্ষীরা হিসাবে গড়ে তোলার।"চলো যাই যুদ্ধে,মাদকের বিরুদ্ধে" উক্ত শ্লোগান কে সামনে রেখে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন জেলার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান।পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা গোয়েন্দা শাখা ও জেলার আটটি থাকার অফিসার ইনচার্জগণ দিন-রাত পালাক্রমে জেলার বিভিন্ন মাদক স্পটে অভিযান অব্যহত রেখেছেন।সাতক্ষীরা জেলার ইতিহাসে সবচাইতে রেকর্ড ব্রেক ইয়াবার চালান ২০ হাজার পিস ইয়াবার চালান তাঁর নেতৃত্বাধীন টিম আটক করেছিলেন।
পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় পুলিশ সুপারের ভূমিকা: পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় জেলা পুলিশ সুপার ৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে নিচে হাতে কোদাল তুলে শহরের প্রাণসায়ের খালের দুই ধারের ময়লা ও আবর্জনা পরিস্কার করেন।এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারের সাথে প্রাণসায়ের খালের সৌন্দয্য বৃদ্ধির লক্ষে কোদাল নিয়ে আবর্জনা পরিস্কার করেন।এছাড়াও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লক্ষ শহীদের স্মরনে জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান ইং ২৮-০৮-২০১৮ খৃষ্টব্দে জেলা পুলিশ লাইন্সে ৩০ লক্ষ শহীদের স্মরনে ৩০ লক্ষ বৃক্ষ রোপনের কাজ উদ্বোধন করেন।তিনি জেলার ৮টি থানার ওসি দের হাতে বিভিন্ন ফলদ গাছের চারা তুুলে দেন সংশ্লিষ্ট থানা কম্পাউন্ডে রোপন করার জন্য।এছাড়া বাঁকাল মেডিকেল কলেজের বাইপাস সড়কের রাস্তার দুই পাস জুড়ে কয়েক হাজার আমগাছ রোপন করেছেন পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান।
ধর্মভীরু পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান:ইসলাম ধর্মের প্রতি অনেক দূর্বল ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো:সাজ্জাদুর রহমান।মুসলমান পুলিশ সদস্যদের নামাজ পড়ার জন্য তিনি ইং ০৫-১০-২০১৮ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। পবিত্র মাহে রমজানের ২৭ শে রমজানে তিনি সাতক্ষীরা শিশু সদনের এতিম শিশুদের নিতে এসপি বাঙলোতে ইফতারী করান ও পবিত্র ঈদ-উল ফিতরে তিনি এতিম ও অসহায় মানুষদের কে ঈদের নতুন কাপড় কিনে উপহার দেন। শুধু ঈদুল ফিতরে নয় ঈদুল আযহাতে অথাৎ কোরকানীর ঈদের আগে তিনি অদ্য ২১-০৮-২০১৮ তারিখে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে প্রায় ১ হাজার অসহায় ও এতিম মানুষদের ঈদ সামগ্রী যেমন - চিনি,সেমাই,লাচ্চা,চাল,ডাল,সয়াবিন তেল,আটা প্রদান করেন।পক্ষান্তরে সনাতন ধর্মের মানুষদের প্রতি পুলিশ সুপার সব সময় যত্নশীল আচরন রেখেছেন।সনাতন ধর্মীদের সব চাইতে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা উৎযাপনে পুলিশ সুপার জেলার সব কয়টি পুজামন্ডপে বিশেষ নিরাপর্ত্তা নিশ্চিত করেন।শুধু তাই নয় সনাতন ধর্মীদের দূর্গা পুজার দশমীর দিনে হিন্দুদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তিনে দেবহাটার টাকিতে পর্যন্ত গিয়েছিলেন দূর্গাৎসব উপভোগ করতে।
নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে এসপি সাজ্জাদুুর রহমানের পদক্ষেপ সমূহ:
নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে জেলা পুলিশ সুপার জনাব মো:সাজ্জাদুর রহমান ২১-১০-২০১৮ তারিখে নিজেই হেলমেট পরিধান করে মটর সাইকেল চড়ে জেলার ২০০-৩০০ জন পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে জেলার গুরুত্বপুর্ন সড়ক গুলো প্রদর্ক্ষিন করেন।পরে পুলিশ লাইন্সে এসে তিনি ৩০০ পুলিশ সদস্যের মটর সাইকেলের যাবতীয় কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করেন।এছাড়াও ট্রাফিক সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে অদ্য ১৫-০৯-২০১৮ খ্রিস্টাব্দ তারিখে জেলা পুলিশের সকল সদস্য নিয়ে র্্যালি বের করেন।র্্যালিতে বাস-ট্রাক চালকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরন করেন পুলিশ সুপার।বিতরন কৃত লিফলেটে লেখা ছিলো যত্র তত্র গাড়ি পার্কিং করবেন না,ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।তাছাড়া ট্রাফিক সপ্তাহের পুরো সপ্তাহে পুলিশ সুপার স্বয়ং নিজে রাস্তায় নেমে রাস্তার চালকদের যাহনবহনের কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করেছিলেন।সব চাইতে বড় বিষয় হইল সড়কে রাতের বেলায় বাস-ট্রাক ও মাইক্রোবাস হেট লাইটের আপার-ডিপার মারেন।যার ফলে রাতের বেলায় চোখে আলোর ঝলকানীতে প্রায় প্রায় রাস্তায় বড় বড় দূর্ঘটনা ঘটে।সেকারনে পুলিশ সুপার তাঁর নিজের সরকারী পাজেরু ও জেলা পুলিশের সব কয়টি পিকআপ ভ্যান সহ এডিশনাল এসপির গাড়ির হেটলাইট,সদর সার্কেলের গাড়ির হেডলাইট,কালিগঞ্জ সার্কেলের গাড়ির হেডলাইটের উপরের অংশে নিজে হাতে করে কালো রং টেনে দেন।
ক্রিয়াঅনুরাগী পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান: জেলার ক্রিয়াঅনুরাগী পুলিশ সুপার ইতি মধ্যে সকল প্লেয়ার দের মন আকৃষ্ট করেছেন। ০৭ জুলাই ২০১৮ তারিখ বঙ্গগবন্ধু স্যাটেলাইট ফুটবল গোল্ডকাপ ২০১৮ টুর্নামেন্ট উপলক্ষে কলারোয়ার সোনাবাড়ির মাঠে ফুটবল খেলার উদ্বোধন করেছেন।এছাড়া জেলার প্রত্যেকটি খেলা ধুলার প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে তিনি ব্যক্তিগত আগ্রহে যান ও খেলায় বিজয়ীদের মধ্যে ট্রফি বিতরন করেন।
ন্যায়-নীতি ও সততার সহিত মাত্র ১০০ টাকায় পুলিশের চাকুরী দিয়েছেন এসপি সাজ্জাদুর রহমান: অবিশ্বাস্য হলেও এবার সত্যি সত্যিই ১০০ টাকায় পুলিশের চাকুরী দিয়েছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার।সম্পুর্ন মেধা আর যোগ্যতায় তিনি জেলার ছেলে ও মেয়ে সহ আনু: ১২০ জন কে বিনা টাকায় চাকুরী দিয়েছিলেন।শুধু মাত্র চাকুরীর আবেদনে সরকারী ব্যাংকড্রাফ্ট হিসাবে মাত্র ১০০ টাকা খরচ হয়েছিল প্রার্থীদের।সূত্র জানায় অদ্য ২২-০২-২০১৮ তারিখে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে যোগত্যা ও মেধার ভিত্তিতে বিনা তদবীর ও বিনা টাকায় আনু:১২০ জন কে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকুরী দিয়েছেন এসপি সাজ্জাদুর রহমান।
দুদক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ধন্যবাদ পেয়েছিলেন এসপি সাজ্জাদুর রহমান: সাতক্ষীরায় ২০১৮ সালের জুলাই মাসের ৩ তারিখে শহীদ আব্দুর রাজ্জার্ক পার্কে গনশুনানীর আয়োজন করেন দুদক কমিশনার জনাব এএফএম আমিনুল ইসলাম।গনশুনানীতে দুদক চেয়ারম্যানের সাথে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত থেকে আগত জনগনের সমস্যা সমূহ ও অভিযোগ সম্পর্কে শোনেন দুদোক কমিশনার।এসময় মুক্ত মঞ্চের জনগন কতৃর্ক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের যথাযত সন্তোষ জনক ব্যাক্ষা প্রদান করেন পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান।পরে দুদোক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম ইং ০৮ জুলাই ২০১৮ তারিখ ঢাকা থেকে ডিও লেটারে একটি ধন্যবাদ পত্র পাঠান জেলা পুলিশ সুপারের বাই নেমে।দুদোক কমিশনারের ঐ ধন্যবাদ পত্রে লেখা ছিলো সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ন্যায় নীতি ও সততার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন এবং দক্ষতার সহিত জেলার পুলিশ সুপার মো:সাজ্জাদুর রহমান দায়িত্ব পালন করছেন।
সর্বোপরি এই আদর্শ ও ন্যায়-নীতিবান পুলিশ সুপারের উন্নয়ন মুলক কাজের কথা বলে শেষ করা যাববেনা।সাতক্ষীরায় যোগদানের মাত্র ১ বৎসরের মধ্যে তিনি এতগুলো ভালো কাজ করেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশ্বস্থ্য সূত্র আপডেট সাতক্ষীরা কে জানান, সাজ্জাদুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।২০০৩ সালের ৮ মে ২১তম বিসিএস এর ক্যাডার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। প্রথমে সিলেট তারপর সার্কেল এএসপি হিসেবে নিলফামারী ও ময়মনসিংহতে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১০ সালে জাতিসংঘ মিশনে ইউএনপিওএল এ লাইব্রেরিয়ায় এক বছর কাটান। ওই খানে তিনি পরীক্ষার মাধ্যমে লজিষ্ট্রিক সেকশনের টীম লিডার নির্বাচিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। লাইব্রেরিয়ায় তিনি জাতিসংঘ মিশন শেষ করে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে যোগদান করে।
২০১২ সালের ২০মে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নারায়নগঞ্জে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের ৫মে তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে এসপি সমমর্যাদার উপ পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
লেখক : সিটিজেন জার্নালিষ্ট, সাতক্ষীরা ও নির্বাহী পরিচালক, আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম।