শীতের সন্ধা কেবল নামছে । চারিদিকে লোকজনের কোলাহল ।এক সময় কোলাহল থেমে গেল । বধ্যভুমিতে ১ মিনিট নিরাবতা। লাখো শহীদদের স্বরণে মধ্য দিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করলেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ।
আজ ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠের বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো:নজরুল ইসলাম। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার আহবায়ক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যনার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেএসডি’র সুধাংশু শেখর সরকার, কেন্দ্রীয় জাসদের সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ওসমান গণি, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেজুতি, সাবেক শিক্ষা অফিসার কিশোরীমোহন সরকার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, উন্নয়ন কর্মী মাধব দত্ত, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, বিশিষ্ট কবি স.ম তুহিন, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এম এ জলিল, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য স্বপন কুমার শীল, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াদেুজ্জামান টিটু, জেলা জাসদের শিল্প ও শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, রওনক বাসার প্রমুখ। মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের পরে নেতৃবৃন্দ জমি অধিগ্রহণ পূর্বক বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণের জন্য সকলেই দাবি তোলেন।
উল্লেখ্য,স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই বধ্যভূমি গুলোতে পাকিস্তানী পাক হানাদার বাহিনী প্রায় তিন থেকে চারশত নিরিহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দেয়।
সূত্র:দৈনিক সাতক্ষীরা ডটকম।