সাতক্ষীরা ছেড়ে গেলেও ভুলে যাইনি এখানকার মানুষের কথা। যাবোও না কোনোদিন। পেশাগত জীবনের ব্যস্ততার মধ্যেও আমি আপনাদের কথা মনে রেখেছি। আমি সাতক্ষীরার জন্য কিছু কাজ করতে পেরেছি ভেবে এখনও তৃপ্তি বোধ করি। তবে অতৃপ্তি রয়েছে সব কাজ সম্পন্ন করতে না পারার।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আকস্মিক শুভেচ্ছা সফরে এসে এ কথা বলেন সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন সাতক্ষীরায় দিন দিন উন্নয়ন হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে সাতক্ষীরা আরও এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন এখন সাতক্ষীরায় দরকার একটি পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়। সরকার বিষয়টি ভাবছে জানিয়ে তিনি বলেন এখানকার শিক্ষার্থীরা একদিন নিজেদের জেলায় উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন সাতক্ষীরায় মেডিকেল কলেজ হয়েছে এটি একটি বড় অর্জন। বাইপাস সড়ক হয়েছে। মানুষের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিন রেল সংযোগ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় তার সহধর্মীনি সেলিনা আফরোজ ও মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মুমতাসিন আফরোজ নীহা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে যুগ্ম সচিব ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানান সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আবুল কাসেম, মোহনা টিভির আব্দুল জলিল, ডিবিসি টিভির এম জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ বেতারের ফারুক মাহবুবুর রহমান, প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক শেখ আহসানূর রহমান রাজীব প্রমূখ সাংবাদিক।
শুভেচ্ছা মত বিনিময়কালে সাংবাদিকরা তার সময়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন। আলোচনায় অনেক বিষয়ের মধ্যে উঠে আসে তার হাতে গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা কালেক্টরেট স্কুলের কথা। স্কুলটি এখন ভাল রেজাল্ট করছে জানিয়ে মত বিনিময় সভায় বলা হয় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট স্কুলটি একদিন আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। সাবেক জেলা প্রশাসক ও যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন বলেন তিনি যেখানেই থাকি, সাতক্ষীরার উন্নয়নে এতোটুক অংশ নিতে পারলে খুশী হবো। তিনি আরও বলেন সাতক্ষীরার মানুষের আচরণ চমৎকার। এ কারণে তাদের সাথে আমার নৈকট্য গড়ে উঠেছে। এই নৈকট্য আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সুন্দরবন পিকনিক আয়োজনে তাকে পারিবারিক ভাবে নিমন্ত্রণ জানানো হলে তা তিনি সাদরে গ্রহণ করেন।
তথ্য: দৈনিক সাতক্ষীরা ডটকম।