ভালো পুলিশদের যে খুব জনপ্রিয়তা আছে তা বোঝা গেলো শুক্রবার রাতে।জুবলি স্কুলের সামনে টি স্টলে বসে চা খাচ্ছিলাম আর মোবাইলে একটা নিউজের শেষের অংশ টি লিখছিলাম।চা এক চুমুক করে খাচ্ছি আর গুছিয়ে দুটো কথা লিখছিলাম আপডেট সাতক্ষীরার এডমিন প্যানেলে।এর মধ্যে দেখলাম সদর এমপি মহোদয়ের অ্যাম্বাসেডর ও ৭১ নিউজের সম্পাদক আকাশ লুঙ্গিপরে মটর সাইকেল যোগে যাচ্ছে ডান দিকের রাস্তায়।আকাশ কে ডাক দিলাম, আকাশ বাইক ঘুরিয়ে আমার কাছে আসলো।বল্লাম কৈ যাও এতোরাতে লুঙ্গিপরে? সে উত্তর দিলো ডিবির ইন্সপেক্টর শাহরিয়ার ভাই খুব অসুস্থ্য তাই দেখতে যাচ্ছি বাসায়।আমি আকাশ কে বল্লাম চলো আমিও যাবো। শাহরিয়ার ভাই আমাকেও খুব স্নেহ করেন।সোজা চলে গেলাম মুনজিতপুর নিপুন সুজের বাড়ি (অপু দের বাড়ি)।সেখানে ভাড়া থাকেন ডিবির পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান।বাসায় ঘুকে দেখলাম ভাবী ভাইয়ার মাথায় তেল টেনে দেচ্ছেন, ভাইয়া শুয়ে আছেন খাটের উপরে অচেতন হয়ে।কোন সাড়া শব্দ নেই।সেখানে ভাইয়ার হাত-পা টেনে দিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছোট ভাই সাইফুল।সাইফুল কে বল্লাম এম্বুলেন্স ডাকো।সাইফুল বল্লো সাদেক ভাই অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে গেছে। কিছুক্ষনের ভিতর সিভি হসপিটাল এম্বুলেন্স এসে গেল বাসার সামনে । আমরা এসময় অ্যাম্বুলেন্সের স্টেচার নিয়ে পাজা করে শাহরিয়ার ভাইকে অ্যাম্বুলেন্সে তুললাম এবং সোজা সিভি হসপিটালে নিয়ে গেলাম। সিভি হসপিটালের সামনে গিয়ে দেখলাম সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব সাদেকুর রহমান সাদেক সহ আরও 10-12 জন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ অবস্থান করছেন। যেই আম্বুলান্স হসপিটালে পৌঁছালো সাথে সাথে ছাত্রলীগ সেক্রেটারি সাদেক ও তার সোলজার রা তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স থেকে পরিদর্শক শাহরিয়ার ভাই কে নামিয়ে নিয়ে সোজা সি বি হসপিটাল এর ইমার্জেন্সি রুমে নিয়ে গেলেন