সদরের তুজুলপুরে ‘খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের প্রাণবৈচিত্র্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২২ মে আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলেক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তুজুলপুর কৃষক ক্লাব এবং সাতক্ষীরা বীজ ব্যাংক ও কৃষি হাসপাতালের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাভায় তুজুলপুর কৃষক ক্লাবের সভাপতি ও বৃক্ষরোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ইয়ারব হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমানের পরিচালনায় সূচনা বক্তব্য রাখেন বারসিকের সহকারী কর্মসূচি কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক ও কালেরকণ্ঠের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন, বারসিকের যুব সংগঠক ফজলুল হক, তুজুলপুর কৃষক ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাহাঙ্গীর আলম, সদস্য রাজু আহমেদ, এমএ বারেক, আমিরুল ইসলাম, অনিক সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, শুকুর আলী, অনিক সিদ্দিকি, রবিউল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রকৃতিতে দেখা-অদেখা জানা-অজানা দৃশ্য কি অদৃশ্যমান সকল প্রাণের বহুপাক্ষিক বহুমাত্রিক বৈচিত্র্যই প্রাণবৈচিত্র্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপুর্ব লীলাভূমি বাংলাদেশ। এদেশে প্রকৃতি তার দুহাত উজাড় করে দিয়েছে তার প্রাকৃতিক শোভা। নদী-নালা-খাল-বিল-হাওর-বাওর-দিঘী-জলাশয়-পাহাড়-বন-জলভূমি-সমতলভূমি-বরেন্দ্রভূমি-উপকুল সব মিলিয়ে সেই সমৃদ্ধিরই এক প্রতিচ্ছবি। সেই সমৃদ্ধ প্রকাশিত হয় শতশত পুকুরের গল্প, জনপদ ঘেরা নদীর গল্প, বৃক্ষের গল্প, হাওরের গল্প, পাহাড়ের গল্প, নানা প্রজাতির পাখি, প্রাণীর গল্প, বৈচিত্র্যময় মাছের গল্প, মাটির গল্প মিলে এই জনপদের এক সমৃদ্ধ জীবনের গল্পের ভেতর দিয়ে। তবে প্রকৃতির সাথে মানুষের গভীর সম্পর্কের এই সমৃদ্ধ গল্পের যেন ছন্দপতন হচ্ছে, বাড়ছে মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যেকার ব্যবধান। ধীরে ধীরে মানুষ সরে যাচ্ছে প্রকৃতির কাছ থেকে আর প্রকৃতি মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মানুষের কাছ থেকে। যার ফলে প্রকৃতিতে এতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র পন্থা হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ প্রকৃতি। যা দিয়ে শুধু সকল প্রাণসত্তার খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবেনা সেই সাথে আমাদের চিন্তা চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে চারপাশের জন্য প্রকাশিত হবে সংবেদনশীলতা।
পত্রদূত নেট।