হাটু সমান পানিতে নেমে জলাবদ্ধতায় আটকানো অসহায় মানুষদের পাসে দাঁড়ালেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার জনাব দেবাশীষ চৌধুরী।
সূত্র জানায়,কয়েকদিন যাবৎ অতি বৃষ্টিতে ধুলিহর ইউনিয়নের নয়টি গ্রাম জলাবদ্ধতায় পড়েছে।মানুষের সাথে সাথে গৃহপালিত গরু ছাগল,হাঁসমুরগিরা ও বাদ যাইনি এই জলাবদ্ধতার কবল থেকে।সূত্র আরো জানায়, জলাবদ্ধতার খবর শোনা মাত্রই সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক জনাব এসএম মোস্তফা কামালের দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী রবিবার বিকালে ছুটে যান ধুলিহরের সেই জলাবদ্ধতায় ডুবে থানা অসহায় মানুষদের দেখতে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল সকলের পায়ে জুতা স্যান্ডেল পরা।এর মধ্যে কেউ কেউ পঁচা পানিতে নামতে নাক সিটকাচ্ছে।
বিষয়টি উপলব্ধি করে ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী জুতা মুজা খুলেই প্যান্ট গুটিয়ে হাটু সমান পানিতে নেমে জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত একে একে নয়টি গ্রামের মানুষদের সাথে কথা বলেন ও তাদের কে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করার প্রতিস্রুতি দেন।এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল হক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু ও স্থানীয় জনসাধারন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী প্রতিবেদক কে বলেন,এলাকার লোকজনের সাথে আলাপচারিতা ও ইউনিয়ন পরিষদের আনুমানিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে।তিনি গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে জানান,বেতনা নদীর তলদেশে পলি জমে ভরাট হওয়ায় উক্ত অঞ্চলের পানি নিষ্কাশিত হচ্ছেনা।
তিনি জানান, এ মুহূর্তে সুপেয় পানি নিশ্চিত করার জন্য তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে দশ হাজার পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে, শিশু ও গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।তিনি আরো জানান,আগামীকাল ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদে যাবেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। সেখানে উপস্থিত থেকে তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ে ৫০ টি স্যালো মেশিনের সাহায্যে জলাবদ্ধতায় আটকানো পাঁচ শতাধিক পরিবারকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে উদ্ধার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রশাসন।