সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসাবে দেবাশীষ চৌধুরী যোগদান করেছেন চলতি বৎসর ফেব্রুয়ারী মাসে।যোগদানের মাত্র ৯ মাসের মধ্যে তিনি সদর উপজেলাকে একটি ডিজিটাল উপজেলায় পরিনত করতে সক্ষম হয়েছেন।যোগদানের তৃতীয় মাসেই তিনি পুরো উপজেলা পরিষদ কে সিটি টিভি ক্যামেরার আনতে সক্ষম হয়েছেন।আর ইতিমধ্যে সেই সিটি টিভি ক্যামেরার উপকার পেতে শুরু করেছেন পরিষদে আসা গ্রামের মানুষ গুলো।
সম্প্রতি এক ব্যক্তি তার বাই সাইকেল রেখে উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় তলায় যান সরকারি সেবা নিতে।কিছুক্ষণ পরে তিনি নিচে নেমে দেখেন তার সাইকের টি আর নেই চুরি হয়ে গেছে। পরে ঐ ব্যক্তি তার সাইকের চুরির বিষয়টি ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী কে জানালে তিনি সিসি টিভির ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত করেন এবং ঐ চোরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে তাকে খুজে বের করার আহবান জানানো হয়। পরে সেই চোর কে দেবহাটা উপজেলা থেকে সাতক্ষীরা থানা পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে এনে সেবা নিতে আসা উপকারভোগীর সেই হারানো সাইকেল ফিরিয়ে দেন ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরীর।
এখানেই শেষ নয় যখন দেশ ব্যাপি ডেঙ্গু রোগে ছড়াছড়ি তখন সাতক্ষীরা জেলাতেও ডেঙ্গু ঢুকে পড়ে। তখন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের দিক নির্দেশনা মোতাবেক ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী সদর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারণা চালান, সাথে সাথে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশা মারা ঔষধ ছিটানো হয় উপজেরা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায়। তাছাড়া সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এছাড়াও মানবিক কাজে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী। সম্প্রতি ফেইজবুকে ভিক্ষুকের সাহায্য চাওয়া পোষ্ট দেখে ইউএনও ছুটে যান ফিংড়ি গ্রামে ঐ ভিক্ষুকের বাড়িতে। পরের দিন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইউএনও তার অফিসে ঢেকে সমাজ সেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে একটি বয়স্কভাতার কার্ড তুলে দেন।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইউএনও কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।মাদক-ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহ রোধে ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী প্রতি নিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে পড়ানোর অপরাধে এক কাজীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান করেন।এছাড়া ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা বির্ণিমানে সাতক্ষীরা বড় বাজারে প্রাণ সাহের খালে অবস্থিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা শহর গড়তে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।এছাড়া গত সপ্তাহে বৈকারী বাজারে রাস্তার পাসে সরকারি জমিতে অবস্থিত কয়েকশ দোকান পার্ট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গুড়য়ে দেন ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের সকল সরকারি খাল ও ঘেরের নেট পাটা অপসরণ করে তিনি নজির বিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।একের পর এক উন্নয়ন মুলক কাজ সম্পাদন করে তিনি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অবদান রেখে চলেছেন।
তাছাড়া অতিবৃষ্টির কারনে সাতক্ষীরা ধুলিহরের কয়েকটি গ্রাম পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরেই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল কে সাথে নিয়েই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের দিক নির্দেশনা মোতাবেক পানি বন্ধি গ্রামে স্থায়ীভাবে ৪ টি মটর বসিয়ে গ্রাম বাসি দের জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করেন
সর্বশেষ নির্বাহী অফিসারের উন্নয়ন মুলক কাজের আপডেট জানতে সদর উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত এক কর্মকর্তা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন গত ৪-৫ ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী তার ইউএনও বাংলোর সামনে অবস্থিত শিশু পার্কটি নিজে কোদাল হাতে নিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করে ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা শিশু পার্কটির আত্মপ্রকাশ ঘটান।
শিশু পার্ক সম্পর্কে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী প্রতিবেদক কে বলেন সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক জনাব এসএম মোস্তফা কামাল স্যারের স্বপ্নের প্রকল্প ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা বির্নিমানে ও স্কুল পরবর্তী সময়ে ছোট শিশুদের বিনোদনের জন্য এ শিশুপার্কটি নতুন রুপে সাজানো হবে।এখানে কোমলমতি শিশুরা তাদের মা-বাবার সাথে এসে এখানে খেলাধুলা করার সুযোগ পাবে। তিনি আরো জানান,পার্কের সামনে অবস্থিত পুকুরটিকে সুইমিং পুল করে আরো মনোরম পরিবেশ গড়ে তোলা হবে।
এদিকে গতকাল বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা শিশু পার্কটি পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।