আবারো সুদ বাবু বেপরোয়া !!
দেবহাটা থানায় মাদক সেবনের দায়ে মোবাইল কোর্টে ৫ হাজার টাকা জরিমানা খেয়ে ও থেমে নেই সুদ বাবুর মাদক সেবনের কাজ। শুধু সুদের ব্যবসা বলে কথা নয় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ জুয়েল হাসান,ছাত্রলীগ নেতা হোসেন টিপু ও ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন কে চাকু মেরে হত্যা চেষ্টার মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সুদখোর বাবু।
সম্প্রতি মুনজিতপুর জুবলী স্কুলের সামনে বাড়ি মৃত মোখলেজ সরদানের কণ্যা মমতাজ বেগমের সাথে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সুদ বাবু লুঙ্গি খুলে মাথায় তুলে বলে (ব) ছিড়ে নিস। পরে মমতাজ বেগম সাতক্ষীরা সদর থানায় সুদ বাবুর নামে অভিযোগ দিলে সুদ বাবু কে থানায় ডাকেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান । এ সময় নাকে খর দিয়ে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পায় সুদ বাবু।
শুধু তাই নয় পবিত্র রমজান মাসে ইফতারি কম দেওয়ায় মসজিদের ইমাম কে ঘুসি মেনে চোখের কোনা ফাটিয়ে দেয় সুদ বাবু। আর তাছাড়া এলাকায় লোকের গাছের আম- জাম - কাঠাল চুরির মত ঘটনা তো লেগেই আছে এই সুদ বাবুর।
সূত্র বলছে, সুদের ব্যবসা বাবু বুধহাটা থেকে শিখে এসেছে। প্রথম জীবনে বাবুর মা (----) খাতুন বাবু কে ৫০ হাজার টাকা দেন ব্যবসা করার জন্য। সেই টাকা দিয়ে বাবু হাজারে ৫০০ টাকা হারে সুদ খেয়ে সেই টাকা সুদে আসলে এখন ৭ লাখ টাকা জমেছে বাবুর ব্যাসিক ব্যাংকে। এক কথায় বাবুর সকল খারাপ কাজে তার মা খাতুন ই সহযোগিতা করেন।
এতেই ক্ষান্ত নয় নারী লোভী ও নেশা গ্রস্থ্য সুদ বাবু তার ভাড়াটিয়া রা যথাসময়ে বাড়ি ভাড়া দিতে না পারলে বাবু সেসব মহিলা ভাড়াটিয়া দের গায়ে গায়ে পরিশোধ করার প্রস্তাব দিতেন। এসব কারনে বাবুর বাড়িতে কোন ভাড়াটিয়া ৩ মাসের বেশি টেকে না। আর সুদ বাবুর সব চাইতে বড় অস্ত্র তার মুখের অশ্লীল ভাষা। মুনজিতপুর গ্রামের তরকারি ব্যবসায়ী,মুরগি ব্যবসায়ী,ভাংড়ি মাল বিক্রেতা সবাই সুদ বাবুর কাছ থেকে চড়া মূল্যে সুদে টাকা নেয়।আর এই টাকার সুদ বাবু কে প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে দিতে হয়। সবাই সুদ নেয় মাসে মাসে আর সুদ বাবু নেয় সপ্তাহে সপ্তাহে। সাতক্ষীরা মুনজিতপুরের গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে (তার পরিবারের সদস্য বাদে) সবার কাছে শুনলে এই সুদ খোরের প্রকৃত চেহারা জানা যাবে।
জনস্রুতি আছে সুদ বাবু ২০১৮ সালের রোয়ার ঈদের আগের দিন ভোমরা লক্ষী দাড়ি পোষ্ট দিয়ে চুরি করে অবৈধ ভাবে ভারতে যায় ফেন্সিডিল খেতে। বিজিবি কে ফাকি দিয়ে যাওয়ায় সুদ বাবু ভেড়িতে উঠেই ধরা খান বিজিবির কাছে। পরে সাতক্ষীরা সদর থানায় বিজিবি সুদ বাবু কে হস্তান্তর করলে সদর থানা পুলিশ তাকে পাসপোর্ট আইনে চালান দিলে ঈদের দিন সকালে সুদ বাবু জামিনে মুক্ত পায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্ত্তে শহরের একাধিক ভুক্তভোগী জানান, সুদ বাবুর আসল টাকা পরিশোধ হলেও সুদের টাকা কোনদিন পরিশোধ হয় না। আর সেই সুদের টাকা আদায় করতে সুদ বাবু তার মা কে নিয়ে পাওনাদারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিনক্রিয়েট করে সেই টাকা আদায় করে। এক পর্যায়ে পাওনাদার মান সন্মান বাঁচাতে আসল পরিশোধের পরও সুদের সুদ দিয়ে যায় এই জুলুমবাজ সুদ বাবু কে।
তাই একাধিক অপরাধের জনক সুদ বাবুকে তার চলতি মামলা(ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল-টিপু-আলমঙ্গীর হত্যা চেষ্টা মামলার) বেল কেটে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালত কে বিশেষ ভাবে অনুরোধ পূর্বক চিহ্নিত সুদখর কে আইনের আওতায় এনে তাকে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মুনজিতপুরের ভুক্তভোগী মানুষেরা।