প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন। এ দিন তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১ এসএম, খুরশিদ-উল-আলম স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় এ তথ্য জানা গেছে।
ওই ফ্যাক্স বার্তায় জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সকাল ১০টা ৪০মিনিটে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে নামবেন। বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করবেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে অনার গার্ড দেয়া হবে। দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নামাজ ও মধ্যাহ্ন বিরতির জন্য টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাসভবনে অবস্থান করবেন। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
এদিন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দও টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন বলে দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলীয়প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দেবেন এবং ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন। এছাড়া নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রঙের কাজ শেষ করা হয়েছে। কমপ্লেক্সের প্রবেশ ফটকের সামনে ফুল বাগানগুলো নতুন নতুন বাহারি ফুল ও গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এছাড়া সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে নানান উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জেলাব্যাপী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বারগুলোতে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। টুঙ্গিপাড়াসহ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পথে পথে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়েছে।