জুলফিকার আলী,কলারোয়া থেকে: সাতক্ষীরায় কমেছে চুরি, ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড। সেই সাথে বেড়েছে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বলেন, আমি একটি বিপদে পড়ে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি মনোযোগ সহকারে আমার অভিযোগ শুনেছেন এবং আমার সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। সদর উপজেলার মিজানুর রহমান বলেন, কিছুদিন পুর্বেও জেলায় পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ছিল। বর্তমানে পুলিশের সেই অপরাধ প্রবণতা কমেছে। এ ধারা অব্যহত থাকলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে। বর্তমানে কোনো থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জিডি, ভেরিফিকেশন, মামলা দায়ের করতে টাকা লাগছে না। মানবাধিকার কর্মী এ্যাডভোকেট কাজী আব্দুল্লাহ আল হাবিব বলেন, আগে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। জেলাবাসী এখন সুবিচার পাচ্ছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে জেলার সকল রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি পালনে সমান অধিকার পাচ্ছে। জেলার স্থানীয় জনসাধরণরা বলছেন, এই পরিবর্তন হয়েছে বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এর জন্য। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই যোগদানের পর থেকেই তিনি মাদক, সন্ত্রাস ও পুলিশের গ্রেফতারি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিরদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা শুধু শহরেই নয়, গ্রামের মানুষের কাছেও তিনি সমান প্রিয় ব্যক্তিত্ব। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো: আছাদুজ্জামান বলেন, এখন পুলিশের ওপর মানুষের একটা আস্থা বিশ্বাসও ফিরে এসেছে, যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, জনগণের সেবাই পুলিশের ধর্ম। আমি চেষ্টা করি মানুষের বন্ধু হিসেবে থেকে তাদের সেবা করতে, তবে অপরাধীদের নয়। জেলার মানুষের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা। কোনো বিপদে পড়লে, কোনো পুলিশ হয়রানি করলে, পুলিশি সেবা পেতে অর্থ চাইলে সরাসরি আমাকে জানাবেন। আমি ব্যবস্থা নেব।