পুলিশের যদি কোনো ভুল-ত্রুটি হয় তাহলে সেটি ধরিয়ে দিতে ও গঠনমূলক সমালোচনা করতে আহ্বান জানিয়ে বাহিনীটির মহাপরিচালক ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, তারা সত্যিকার অর্থে জনগণের পুলিশ হতে চান।
বৃহস্পতিবার রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে পুলিশের বিভিন্ন সদস্যদের লেখা আটটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পুলিশ-প্রধান।
জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, ‘মুজিববর্ষে আমরা জনগণের পুলিশ হওয়ার যে শপথ নিয়েছি, তা আমাদের সব সহকর্মীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা চাই পুলিশ সত্যিই জনগণের বন্ধু হোক।’
পুলিশের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘পুলিশের গঠনমূলক সমালোচনা করুন। আমাদের দোষগুলো ধরিয়ে দিন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মীর শহিদুল ইসলাম,স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি আবু কালাম সিদ্দিক,অতিরিক্ত ডিআইজি ইঞ্জিনিয়ার এ জেড এম নাফিউল ইসলাম,রমনার ডিসি সাজ্জাদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বইয়ের লেখকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান অনেক। ২৫ মার্চ রাতে রাজারবাগে পুলিশ সদস্যরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণ মোকাবিলা করে জীবন দেয়। এরপর সারাদেশের পুলিশ লাইনের অস্ত্রগারগুলো খুলে দেয়া হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।
সারাদেশের পুলিশ লাইনে গণকবর দেখা যায়। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যরা ওতপ্রতভাবে জড়িত। তাদের স্মৃতি সংরক্ষণে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, সারা দেশে শহীদ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বই প্রকাশ করা হবে, তার কাজ চলছে। প্রতিটা জেলা পর্যায়ে কাজ করা হবে। শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ জেলার শহীদ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে লেখা বইয়ের কাজ চলছে।