করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে খুলনায় হোম কোয়ারেনটাইন (সন্দেহভাজনদের পৃথক করে রাখা) জোরদার করা হচ্ছে। বিদেশে ফেরত ব্যক্তিদের কার্যকর হোম কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করতে না পারলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ৩০ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তি নিজ গৃহে কোয়ারেনটাইনে আছেন এবং খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আজ (বুধবার) বিকেলে সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি সভায় এসকল তথ্য জানানো হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, কোয়ারেনটাইনের নিদের্শনাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জনবহুল স্থানে বিচরণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়িতে কোয়ারেনটাইনের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে সরকারিভাবে স্থাপিত কোয়ারেনটাইন স্থাপনায় আশ্রয় নিতে হবে। সকল ব্যবস্থার সঠিক প্রতিপালন নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং টিম গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। হোম কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থা কার্যকরভাবে প্রতিপালনের বিষয়টি এই কমিটি প্রতিদিন দুইবার করে পর্যবেক্ষণ করবে। এ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া করোনাভাইরাস মোকাবেলা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরা সুলতানাসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।